সাংসদকে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ফজলে হোসেন বাদশা
ফজলে হোসেন বাদশা

রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশাকে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে রাজশাহীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টসংলগ্ন ওয়ার্কার্স পার্টির দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জিরো পয়েন্টে এসে শেষ হয়।

সম্প্রতি উচ্ছেদ হওয়া ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পবাপাড়ার বাসিন্দারাও এই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন। পরে সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

তিন শতাধিক পরিবারকে পুনর্বাসন না করেই গত রোববার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এদিন সকাল থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি খাল খনন প্রকল্পের আওতায় রাজশাহী নগরের নতুন পবাপাড়া (গাঙপাড়া) এলাকায় এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়। সেখানে গিয়ে সাংসদ ফজলে হোসেন বাধা দিয়ে জানান, উচ্ছেদ করার আগে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পুনর্বাসন করতে হবে। ওই দিন দুপুরের দিকে সাম্যবাদী দলের রাজশাহী নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা সাংসদকে মুঠোফোনে হত্যার হুমকি দেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। ফজলে হোসেনের পক্ষে তাঁর দলের রাজশাহী মহানগর শাখার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মনির উদ্দিন এই জিডি করেছেন।


ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগর শাখার নেতাদের আয়োজিত আজকের বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাজশাহী নগরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সেখানে প্রায় ৫০ বছর ধরে বসবাস করছেন। তাঁদের বাড়িঘরে হোল্ডিং নম্বর, পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ রয়েছে। তা ছাড়া সেখানে ৫০-এর অধিক এসএসসি পরীক্ষার্থী রয়েছে। এ অবস্থায় তিন দিন সময় দিয়ে তাঁদের পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদ করা অন্যায়। তাঁরা আরও বলেন, রাজশাহী সদর আসনের নেতা ফজলে হোসেন বাদশা জনমানুষের কথা বলেন। তিনি কারও হুমকিতে পিছপা হবেন না।

এ সময় বক্তব্য দেন সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশার সহধর্মিণী ও বরেন্দ্র কলেজ রাজশাহীর অধ্যাপক তসলিমা খাতুন, ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর শাখার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এন্তাজুল হক, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি রাজশাহী শাখার সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল, সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মতিউর রহমান, কৃষকনেতা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

এন্তাজুল হক বলেন, যাঁরা পদ্মার বুকে রাস্তা তৈরি করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন, জেলা প্রশাসক তাঁদের দেখেন না। তাঁরা নিম্ন আয়ের মানুষকে এই কনকনে শীতের মধ্যে মাত্র তিন দিন সময় দিয়ে উচ্ছেদ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এভাবে উচ্ছেদ করার কথা বলেননি। তিনি এই মানুষগুলোকে উচ্ছেদের আগে পুনর্বাসনের কথা বলেছেন। কিন্তু জেলা প্রশাসক তাতে কর্ণপাত না করে অন্যায়ভাবে গাঙপাড়ায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছেন।