বিএনপি আমলে কোনো সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি: রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

বিএনপির কোনো শাসনামলেই সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি দাবি করেছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি সরকারের সময় সংখ্যালঘুদের সর্বোচ্চ স্বার্থ রক্ষিত হয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখতে সফল হয়েছে। কেউ নির্যাতনের শিকার হয়ে কোথাও যায়নি।’

আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

গতকাল সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘২০০১ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যে হামলা হয়েছিল, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ের বর্বরতাকেও তা হার মানিয়েছে। সেই সময় অনেকেই জান-মালের নিরাপত্তা রক্ষায় দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন।’

ওবায়দুল কাদেরের এই বক্তব্যের সমালোচনায় রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ওবায়দুল কাদেররা পার্শ্ববর্তী দেশের গুরুজনদের অন্যায় কাজে সমর্থন দিলো। অমিত শাহ বিএনপিকে নিয়ে লোকসভায় যে মনগড়া, ভ্রান্ত এবং কাল্পনিক তথ্যের অবতারণা করেছিলেন সেটিকেই বৈধতা দিলেন ওবায়দুল কাদের সাহেব। ওবায়দুল কাদের সুর মিলিয়েছেন অমিত শাহর সঙ্গে। যেমন মীরজাফর, জগৎ শেঠ, রায়দুর্লভরা সুর মিলিয়েছিলেন লর্ড ক্লাইভদের সঙ্গে।’ রিজভী বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের পক্ষে যৌক্তিকতা প্রমাণ করার জন্যই বিএনপিকে টেনে এনেছেন। এ দেশের জনগণের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সুমহান ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত করলেন ওবায়দুল কাদের।’

রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে মিয়ানমার যেমন রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্যাতনের মুখে রোহিঙ্গাদের রাষ্ট্রহীন করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য করেছে, একইভাবে নাগরিকত্ব আইন এবং নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) জটিলতায় সংখ্যালঘু ভারতীয় মুসলমানদের রাষ্ট্রহীন ঘোষণা করে বাংলাদেশে পুশ-ইন করার প্রক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। অথচ বাংলাদেশ সরকার এনআরসির বিষয়টিকে বারবার ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু আখ্যায়িত করে এড়িয়ে যাচ্ছে।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ওপর ‘চিকিৎসা-সন্ত্রাস’ চলছে অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘তিনি কেমন আছেন তাঁকে নিয়ে কি করা হচ্ছে কিছুই জানতে দেওয়া হচ্ছে না। আমরা আশঙ্কা আছি দেশনেত্রীকে নিয়ে। আমরা আশঙ্কা করছি দেশনেত্রীর প্রাণনাশ করার কোনো নীলনকশা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে কি না; কারণ তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক শামীম ও মামুনকে এখন আর দেখা করতে দেওয়া হয় না।’ তিনি অবিলম্বে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।