বিএসটিআইয়ের অনুমোদন নেই,অথচ মোড়কে লোগো

অনুমোদন নেই। অথচ, খাবারসামগ্রীর মোড়কে বিএসিটআইয়ের সিল। ছবি: কল্যাণ প্রসূন
অনুমোদন নেই। অথচ, খাবারসামগ্রীর মোড়কে বিএসিটআইয়ের সিল। ছবি: কল্যাণ প্রসূন

বিএসটিআইয়ের (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস্ অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন) কোনো অনুমোদন নেই। অথচ খাবারসামগ্রীর মোড়কে তাদের লোগো রয়েছে। এভাবেই এসব সামগ্রী বিপণন ও বাজারজাত করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের মূল ঠিকানার বাইরে অন্য স্থানে কারখানা খুলে খাদ্যসামগ্রী উৎপাদন করা হচ্ছে।

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা সদরের পশ্চিম ভবানীপুর এলাকায় ‘শ্যামলী ফুডস্’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কারখানায় আজ মঙ্গলবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে এসব তথ্য পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপককে এক লাখ টাকা জরিমানা করে তা আদায় করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অসীম চন্দ্র বণিকের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শ্যামলী ফুডস কারখানায় অভিযান চালায়। এ সময় প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মো. শাহপরাণকে (২৬) জরিমানা করা হয়। অভিযানকালে অন্যদের মধ্যে বিএসটিআইয়ের সিলেট কার্যালয়ের পরিদর্শক ইয়াছির আরাফাত ও পুলিশের একটি দল ছিল।

ইউএনও অসীম চন্দ্র বণিক সন্ধ্যা সাতটার দিকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, অভিযানকালে কারখানার ভেতরে উৎপাদিত খাবারসামগ্রীর মোড়কে বিএসটিআইয়ের সিল দেখা গেছে। কিন্তু, প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা এসংক্রান্ত কোনো অনুমোদনপত্র দেখাতে পারেননি। মোড়কে প্রতিষ্ঠানের মূল ঠিকানা পার্শ্ববর্তী বড়লেখা উপজেলা সদরের পানিধার এলাকায় বলে উল্লেখ করা রয়েছে। অথচ, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ওই ঠিকানা ব্যবহার করে জুড়ীতে অবৈধভাবে কারখানা খুলে খাবারসামগ্রী উৎপাদন করা হচ্ছে। এ কারণে বিএসটিআই আইন অনুযায়ী জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানকালে কারখানার ভেতরের পরিবেশও অপরিচ্ছন্ন পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে সতর্ক করা হয়েছে।

বিএসটিআইয়ের পরিদর্শক ইয়াছির আরাফাত বলেন, অস্বাস্থ্যকর উপায়ে খাবারসামগ্রী উৎপাদনের দায়ে সম্প্রতি ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রতিষ্ঠানটির বড়লেখা কারখানায় অভিযান চালিয়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করে।

শ্যামলী ফুডসের ব্যবস্থাপক শাহপরাণ বলেন, তাঁর ভাই মো. শাহজালাল প্রতিষ্ঠানের মালিক। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে তাঁদের বাড়ি। বিএসটিআইয়ের অনুমোদনের জন্য তাঁরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করবেন।