সব ছাপিয়ে ডেঙ্গুই বড় ঘটনা

গতবারের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বছরের শুরুতে পূর্ণ মন্ত্রীর চেয়ারে বসে তেমন চমক দেখাতে পারেননি। বরং চিকিৎসাশিক্ষা শাখার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবজাল হোসেনের দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ হওয়ায় অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। ছোট পদে থেকে সম্পদের এত বড় পাহাড়? তবে এ ধরনের দুর্নীতিসহ স্বাস্থ্য খাতের প্রায় সব ঘটনাকে ম্লান করে দেয় ডেঙ্গু।

একমাত্র ডেঙ্গুই ২০১৮ ও ২০১৯ সালের মধ্যে সুনির্দিষ্ট পার্থক্য তৈরি করেছে। দুই বছরের বাকি প্রায় সব ঘটনা ছিল গতানুগতিক। গত জুনে ঘোষিত জাতীয় বাজেটে মোট বরাদ্দের ৫ শতাংশ রাখা হয়েছিল স্বাস্থ্য খাতে। ২০১৮ সালে তা ছিল ৪ দশমিক ৯ শতাংশ। স্বাস্থ্য খাতে উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতির খবর যেমন ছিল না, তেমনি গভীরভাবে হতাশ হওয়ার মতো কিছু ঘটেনি। তবে ২০২০ সালেও ডেঙ্গু বড় খবর হয়ে আসতে পারে, এমন আশঙ্কা সবার।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ১ বছরের কম ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে বিনা মূল্যে চিকিৎসা, সব বিভাগীয় শহরে মেডিকেল কলেজ স্থাপন, প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হার্ট, ক্যানসার ও কিডনি চিকিৎসা চালু, প্রতিটি বিভাগীয় শহরে অন্তত ১০০ শয্যার স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যানসার ও কিডনি চিকিৎসা চালু। এ ছাড়া গ্রামাঞ্চলের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসকের সংখ্যা বৃদ্ধি, সেবার মান বৃদ্ধি এবং উপস্থিতি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে কোনো প্রতিশ্রুতি পূরণের সময় নির্দিষ্ট করা হয়নি।

বছর শেষে বিশেষ বিসিএসে পাস করা ৪ হাজার ৪৪৩ জন চিকিৎসককে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। এই নিয়োগ উপজেলা পর্যায়ের চিকিৎসক-সংকট কিছুটা কমাবে। তবে এসব চিকিৎসক গ্রামাঞ্চলে থাকবেন কি না, তা নিশ্চিত হতে পারছে না দেশবাসী। আবার শুধু চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়লেই সেবার মান বাড়বে, এমন নিশ্চয়তা নেই। সর্বশেষ জনমিতি ও স্বাস্থ্য জরিপ এবং স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান জরিপে দেখা গেছে, স্বাস্থ্যসেবার মান বিগত বছরগুলোর তুলনায় কমছে।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক রশীদ-ই-মাহবুব প্রথম আলোকে বলেন, সরকার নতুন চিকিৎসক নিয়োগ করেছে ভালো কথা; কিন্তু তাঁদের কর্মস্থলে ধরে রাখার কার্যকর কোনো পন্থা বা কৌশল প্রণয়ন করেনি। ১ বছরের কম বয়সী এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের বিনা মূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার প্রক্রিয়া কী হবে, তা এখনো স্পষ্ট করেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

তাঁদের যাওয়া-আসা
মোহাম্মদ নাসিম স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকার পুরো সময়ে (২০১৪-১৮) প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা জাহিদ মালেক ছিলেন অনেকটাই নিষ্প্রভ। কিন্তু দায়িত্ব নিয়েই নাসিমের খুব কাছের কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বদলি করেন। তিনি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সঙ্গে পান সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সাংসদ মুরাদ হাসানকে। একদিন হঠাৎ (২০ মে) স্বাস্থ্য ছেড়ে তথ্যে চলে যেতে হয় মুরাদ হাসানকে। কানাঘুষা ছিল, মন্ত্রীর সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর বনিবনা হচ্ছিল না।

স্বাস্থ্যে দুর্নীতি লেগে আছে
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মূল্যায়ন করে বলেছে, স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি হয় যন্ত্রপাতি কেনাকাটায়, চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনাকাটায় ও সরবরাহে, নিয়োগ-বদলি ও পদোন্নতিতে, প্রশিক্ষণে, বিদেশভ্রমণে, মেডিকেলে ভর্তিতে।

দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) কর্মকর্তারা মনে করেন, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন—এই ত্রিমুখী আঁতাতে স্বাস্থ্য খাতের অর্থ লুটপাট ও অপচয় হচ্ছে। টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিলে এই খাতে দুর্নীতি কমবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিকিৎসাশিক্ষা শাখার হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আবজাল হোসেন এবং তাঁর স্ত্রী একই দপ্তরের স্টেনোগ্রাফার রুবিনা খানম রাজধানীর উত্তরায় ১৩ নম্বর সেক্টরের ১১ নম্বরে তিনটি পাঁচতলা বাড়ি ও ১৬ নম্বর সেক্টরে একটা পাঁচতলা বাড়ির মালিক। ওই এলাকায় তাঁদের আরও জমি আছে। অস্ট্রেলিয়ায় এই দম্পতির বাড়ি আছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ছোট চাকরি করে এই বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। দুদকের অনুসন্ধানে পাওয়া এই তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ পায় বছরের শুরুতেই। এ ছাড়া প্রশিক্ষণের নামে অনিয়মসহ বছরজুড়ে আরও দুর্নীতির খবর প্রকাশ হতে থাকে।

নভেম্বর মাসে এসে জানা যায়, হবিগঞ্জে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে বইপত্র, টেবিল-চেয়ারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম কেনাকাটায় দুর্নীতি করেছেন কর্মকর্তারা। এই কলেজ সবে যাত্রা শুরু করেছে।

তবে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুর্নীতি পর্দা দিয়ে ঢাকতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এই হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের রোগীকে আড়াল করার একটি পর্দা কেনা হয়েছিল ৩৭ লাখ টাকা দিয়ে। এই কলেজে ১১৬ ধরনের যন্ত্রপাতি ও চিকিৎসা সরঞ্জাম ক্রয়ে ৪১ কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার টাকার অনিয়ম করেছে কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকল্প দলিলে দেখা যায়, কারসাজি করে বেশি দাম দিয়ে কেনাকাটার প্রস্তুতি চলছে।

বিএমএর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ইকবাল আর্সলান প্রথম আলোকে বলেন, নবীন চিকিৎসক নিয়োগ, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট চালু করা, বৃহত্তর পরিসরে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট চালু করা—এগুলো বছরের বড় ঘটনা। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ‘ভ্যাকসিন হিরো’ খেতাব স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের সাফল্যেরই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। তবে নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্য খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতির যে খবর বের হচ্ছে, তাতে এই খাতের অব্যবস্থাপনার চূড়ান্ত চেহারাই প্রকাশ পাচ্ছে।

জোড়া লাগা ক্যাপসুল ও হাসপাতালে আগুন
ভিটামিন এ ক্যাপসুল একটির সঙ্গে একটি লেগে থাকা এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনা দুটো ছিল বিচ্ছিন্ন। তবে দুটো ঘটনাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, অব্যবস্থার মধ্য দিয়ে চলছে স্বাস্থ্য খাত।

১৯ জানুয়ারি দেশের শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল। নির্দিষ্ট তারিখের দুই দিন আগে জানা যায়, ক্যাপসুলের মান খারাপ। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ আসতে থাকে যে ক্যাপসুলগুলো একটির সঙ্গে অন্যটি জোড়া লেগে যাচ্ছে। কর্মসূচি স্থগিত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এতে বিপুল পরিমাণ অর্থের ক্ষতি হয় সরকারের। শিশুরাও সময়মতো টিকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়।

এ ঘটনার প্রায় এক মাস পর ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় আগুন লাগে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ৮৫০ শয্যার এই হাসপাতালে প্রতিদিন রোগী ভর্তি থাকে প্রায় ১ হাজার ২০০। দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনায় অনেকেই বিস্ময় প্রকাশ করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘুম থেকে জেগে ওঠার ডাক। তিনি আরও বলেছিলেন, ঘটনা তদন্ত করে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের নাম জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে।

ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও আগুনের ঘটনায় পৃথক তদন্ত কমিটি করেছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জনসমক্ষে প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।

সবার ওপরে ডেঙ্গু
২০১৯ সালের স্বাস্থ্য খাতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ছিল দেশব্যাপী ডেঙ্গুর প্রকোপ। রোগের ব্যাপকতা, ঘটনার নতুনত্ব, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের অদক্ষতা ও দুর্নীতি, হাসপাতালগুলোতে উপচে পড়া রোগীর ভিড়, রেকর্ডসংখ্যক আক্রান্ত ও মৃত্যু, তথ্য চেপে যাওয়া—এ রকম অনেক কিছুই ঘটেছে ডেঙ্গুকে ঘিরে।

এ বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ২৬৪ জনের মৃত্যুর তথ্য পেয়েছে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। এর মধ্যে ২২১টি মৃত্যু যাচাই করে ১৩৩টি মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেছে আইইডিসিআর। ডেঙ্গুতে এত আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা আগে ঘটেনি। এত মৃত্যুও আগে হয়নি। এর আগে ডেঙ্গু ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় দেখা গিয়েছিল। এবার ৬৪ জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ে। জুলাইয়ের মাঝামাঝি ডেঙ্গু ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আগেই গবেষকেরা বলেছিলেন, এডিস মশা মারার ওষুধ কার্যকারিতা হারিয়েছে। এটা জানার পর ওষুধ পরিবর্তন না করে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন অকার্যকর ওষুধই ব্যবহার করতে থাকে। আবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বাদ দেওয়া ওষুধ দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ব্যবহার করে।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঢাকায় বিশেষজ্ঞ পাঠায়। সংস্থার কীটতত্ত্ববিদ ভূপেন্দর নাগপাল এডিস মশা নিধনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের পরামর্শ দিয়ে যান। এরপরই প্রথম আলো প্রকাশ করে যে ২০১৭ সালে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপের পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অন্য এক বিশেষজ্ঞ কৃষ্ণমূর্তি একই ধরনের পরামর্শ দিয়েছিলেন, কিন্তু সেই পরামর্শ প্রতিবেদন কেউ খুলে দেখেনি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার প্রথম আলোকে বলেন, যে পরিস্থিতিতে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর ব্যাপক সংক্রমণ হয়েছিল, সেই একই পরিস্থিতি ২০২০ সালেও থাকতে পারে। সুতরাং আগামী বছরেও ডেঙ্গু বড় ধরনের খবর হওয়ার আশঙ্কা আছে।

সাফল্যও আছে
এডিস মশা দমন করতে না পারলেও ডেঙ্গু চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য বিভাগ। রোগ শনাক্ত করার পরীক্ষার ফি নির্দিষ্ট করে দেয় সরকার। চিকিৎসক ও কর্মকর্তাদের সব ধরনের ছুটি বাতিল করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুর পর হাসপাতালে চিকিৎসকের উপস্থিতির হার ৪৪ থেকে বেড়ে ৭২ শতাংশ হয়েছে। নজরদারি ব্যবস্থা জোরদার করার পর হাসপাতালে সরবরাহব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে, অপচয়ও কমেছে।

আরও কিছু সাফল্য আছে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সৈয়দ আবদুল হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, আট বিভাগে আটটি পূর্ণাঙ্গ ক্যানসার হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ শুরু হয়েছে এ বছর। সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা চালুর বিষয়টি শুধু আলোচনায় সীমাবদ্ধ নেই। ২০২০ সালকে সরকার মুজিব বর্ষ ঘোষণা করেছে। এই বছরে সরকার যদি স্বাস্থ্যকে এক নম্বর অগ্রাধিকার খাত হিসেবে ঘোষণা দেয়, তাহলে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে।

বছর শেষ হওয়ার আগে অন্যতম খারাপ তথ্যটি প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তারা বলেছে, স্বাস্থ্য ব্যয় মেটাতে বাংলাদেশের মানুষকে নিজের পকেট থেকে ৭২ শতাংশ টাকা দিতে হচ্ছে। আর চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে গিয়ে প্রতিবছর ১ কোটি ১৪ লাখের বেশি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছে। এই প্রবণতা বিপজ্জনক।

অধ্যাপক রশীদ-ই-মাহবুবের মতে, সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি স্থবির হয়ে আছে। মানুষের নিজস্ব ব্যয় বেড়েই চলেছে। এটা বন্ধ করার দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেই।