তৃতীয় টার্মিনাল হলে সেরা হবে শাহজালাল বিমানবন্দর

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজের উদ্বোধন প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে সংবাদ ব্রিফিং করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী (মাঝে)।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজের উদ্বোধন প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে সংবাদ ব্রিফিং করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী (মাঝে)।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ শেষ হলে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হবে এ অঞ্চলের সেরা বিমানবন্দর।

আজ শুক্রবার তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজের উদ্বোধন প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এই ব্রিফিংয়ে বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, আগামী ৪৮ মাসের মধ্যে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষ হবে। তবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে আশ্বস্ত করেছে। আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত করতে শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল অত্যাধুনিকভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে।

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ২০১৮ সালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে ২২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে জাপানের মিতসুবিশি করপোরেশন, ফুজিতা করপোরেশন ও স্যামসাং নামের তিনটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে অ্যাভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়ামকে (এডিসি) কাজের অনুমোদন দেওয়া হয়। আগামীকাল শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন। এদিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৮৭-৯ সিরিজের দুটি নতুন ড্রিমলাইনার ‘সোনার তরী’ ও ‘অচিন পাখি’র উদ্বোধন করবেন তিনি। এ ছাড়া বিমানের মোবাইল অ্যাপসও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই অ্যাপস ব্যবহার করে টিকিট কাটলে যাত্রীরা ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন।

ব্রিফিংয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজ শুরু করতে আমাদের বেশ কিছু বাধা পেরিয়ে আসতে হয়েছে। তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ হলে বছরে ২০ মিলিয়ন যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। টার্মিনালটি এমন একটি ম্যাকানিজমে নিয়ে আসা হচ্ছে, যাতে কেন্দ্রীয়ভাবে এর প্রতিটি কাজ মনিটরিং করা যাবে। নতুন টার্মিনাল হলে গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজের জন্য উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে যোগ্য প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন করা হবে। যোগ্যতাসম্পন্ন যেকোনো প্রতিষ্ঠান গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজে সংশ্লিষ্ট হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে।

এক প্রশ্নের জবাবে মহিবুল হক বলেন, নির্ধারিত সময়ের ভেতর কাজ শেষ হবে -এই নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছে। আর নির্ধারিত সময়ের ভেতরে কাজ না হলেই কিন্তু ব্যয় বহু গুণে বৃদ্ধি পাবে। এখানে কিন্তু নির্ধারিত সময়ের আগেও কাজটা শেষ হবে বলে আমরা আশাবাদী। পুরো প্রকল্পের ব্যয় ২১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। ব্যয় যে একেবারেই বাড়বে না— এই নিশ্চয়তা আমরা দিতে পারব না।

ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. মোকাব্বির হোসেন।