হুজিবির ছয় জঙ্গি রিমান্ডে

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হরকাতুল জিহাদ আল ইসলাম বাংলাদেশের (হুজিবি) ছয় সদস্যকে পাঁচ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত গতকাল শুক্রবার এ আদেশ দেন।

এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পক্ষ থেকে ছয় জঙ্গিকে ঢাকার আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে ৫ দিন মঞ্জুর করেন।

ছয় আসামি হলেন, ঝিনাইদহের চরমুরারীদাহ গ্রামের বিল্লাল হোসেন (২৫), শৈলকুপা উপজেলার বড় কুলচরা গ্রামের নুর আলম (২৮), কুড়িগ্রামের রাজিবপুর থানার শিবের ডাঙ্গি গ্রামের রফিকুল ইসলাম (২৯), গাজীপুরের কালিয়াকৈর নয়ানগর গ্রামের আবুল মিয়া (৩৫), গাজীপুরের নয়ানগর গ্রামের আবদুর রহমান (৩০) ও ঝিনাইদহের কালিগঞ্জ থানার ঝনঝনিয়া গ্রামের আক্তার হোসেন (৩৪)।

ঢাকার আদালতকে এক প্রতিবেদন দিয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক রাজু আহম্মেদ জানান, আসামিরা হুজিবির সদস্য। গত ২৬ নভেম্বর বাড্ডার সাতারকুলের কাজী বাড়ি মোড়ের পাশে তাজুল ইসলামের খালি প্লটে ১০ থেকে ১২জন লোক শলাপরামর্শ করেন। তখন সেখানে অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়। আসামি বিল্লালের কাছ থেকে একটি চাপাতি, একটি চাকু, একটি কালো মুখোশ, এক বোতল চেতনানাশক পদার্থ, একটি সাদা রুমাল, একটি খেলনা পিস্তলসহ কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানায়, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে থাকা হুজির নেতা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি উজ্জ্বল ওরফে রতনের নির্দেশে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরা কাজ করছিল। কারাগারে আটক জঙ্গিদের জামিনের জন্য অর্থ সংগ্রহ এবং ঢাকা শহরে নাশকতা করার জন্য তারা একত্রিত হয়েছিল। এই ছয় জঙ্গির সঙ্গে সেখানে জাহাঙ্গীর, জয়নাল, সবুজ, মেহেদীসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিল। আসামি আবুল মিয়া, রফিক ও বিল্লাল মিলে ১৪ হাজার টাকা সংগ্রহ করে। আসামি মেহেদী হাসান ও রবিউল চেতনানাশক পদার্থ সংগ্রহ করে।

তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ কর্মকর্তা রাজু আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, আদালতের অনুমতি নিয়ে হুজিবির ছয় সদস্যকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ধরা পড়া জঙ্গি বিল্লাল হোসেন সাতজনকে নিয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করে। গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ ও জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, এই গ্রুপ মূলত ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। তাদের সংগঠন পরিচালনা, সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও ডাকাতিকে তারা পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। তারা ক্লোরোফর্ম দিয়ে অজ্ঞান করে ডাকাতি করত। এই গ্রুপের উদ্দেশ্য হলো ডাকাতি করে লুট করা অর্থ তাদের সংগঠন গোছানোর কাজে ব্যবহার করা।