অভিবাসী কর্মীর হার কমবে, বাড়বে প্রবাসী আয়: রামরু

অভিবাসন নিয়ে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রামরু আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। ছবি: প্রথম আলো
অভিবাসন নিয়ে কাজ করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রামরু আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। ছবি: প্রথম আলো

গত বছরের তুলনায় এ বছর বিদেশে অভিবাসী কর্মী যাওয়ার প্রবাহ ১০ শতাংশ কমবে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রবাসী আয় ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

‘বাংলাদেশ থেকে শ্রম অভিবাসনের গতি-প্রকৃতি ২০১৯: সাফল্য ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট (রামরু)। আজ রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেন রামরুর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসনীম সিদ্দিকী।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৬ লাখ ৪ হাজার ৬০ জন বাংলাদেশি কর্মী বিভিন্ন দেশে অভিবাসন করেছেন। এই ধারা অব্যাহত থাকলে এ বছর অভিবাসনের প্রবাহ গত বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ কমে যায়। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে ৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৮১ কর্মী বিদেশে অভিবাসন করেছেন।

রামরু বলছে, নারী কর্মীদের ওপর নিগৃহীত হওয়ার ঘটনা থাকলেও বিদেশে নারী কর্মী যাওয়ার প্রবাহ কমেনি। বরং যে প্রবাহ চলছে, সেটা অব্যাহত থাকলে এ বছর তা ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়ে যাবে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৯৭ হাজার ৪৩০ জন নারী কর্মী কাজের জন্য বিদেশে গেছেন।

রামরু বলছে, বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ পর্যালোচনা ও বেসরকারি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী এই বছর এখন পর্যন্ত তিন হাজারের মতো নারী কর্মী সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে এসেছেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহদীন মালিক দক্ষ কর্মী পাঠানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে পারছি না। শিক্ষাব্যবস্থা দক্ষ জনবল তৈরি করছে না।’ ভারতের এনআরসি ও সিএএর প্রভাব বাংলাদেশে পড়তে পারে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, এ জন্য বাংলাদেশকে প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আন্তর্জাতিক আইন জানেন—এমন লোক নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।