সুবর্ণজয়ন্তীতে উৎসবমুখর কলেজ ক্যাম্পাস

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের একাংশ। গতকাল সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে।  ছবি: প্রথম আলো
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের একাংশ। গতকাল সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে। ছবি: প্রথম আলো

কলেজের মাঠ সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় আঁকা হয়েছে আলপনা। মাঠে বিশাল প্যান্ডেল তৈরি করে আয়োজন করা হয়েছে অনুষ্ঠানের। পুরো মাঠেই শিক্ষার্থীদের ভিড়। বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা সহপাঠীদের একত্রে পেয়ে মেতে উঠেছেন আনন্দ–উল্লাসে। তাঁদের হাসি, গান আর চিৎকারে মুখর কলেজ ক্যাম্পাস।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের চিত্র গতকাল শনিবার ছিল এমনই। কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত উৎসবে এভাবেই আনন্দ–উল্লাসে মেতে ওঠেন কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।

সকালে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের অনুষ্ঠান শুরু হয়। উৎসবের উদ্বোধন করেন সংগীতশিল্পী মোস্তফা জামান আব্বাসী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার ৪ আসনের সাংসদ আবদুস শহীদ। জাতীয় সংগীতের পরপরই কলেজের শিক্ষার্থী যাঁদের প্রয়াণ হয়েছে, তাঁদের স্মৃতির উদ্দেশে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে চিরকুট ব্যান্ডের পিন্টু ঘোষ, ডলি সায়ন্তনীসহ প্রখ্যাত শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন।

অনুষ্ঠানে আসা ২০১১ ব্যাচের শিক্ষার্থী সুদীপ্ত দে বলেন, ‘এই উৎসব উপলক্ষে আমাদের সহপাঠী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ হয়েছে। আমরা খুব আনন্দঘন পরিবেশের মাধ্যমে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব কাটিয়েছি। আমাদের কলেজ থেকে পড়ালেখা করে যাঁরা সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পদে চাকরি করছেন, তাঁদের সঙ্গেও চেনাজানা হয়েছে।’

কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী কেয়া পাল বলেন, ‘২০১৩ সালে কলেজ থেকে পাস করে বের হওয়ার অনেক দিন পর আজ কলেজে এলাম। আমাদের বন্ধুবান্ধব অনেকের সঙ্গে এত দিন দেখা হয়নি। এখানে এসে এত ভালো লাগল সবাইকে পাশে পেয়ে। এই এত বছরে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমরা বন্ধুরা কলেজের সব পুরোনো স্মৃতি নিয়ে আলোচনা করেছি।’

সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদ্‌যাপন পরিষদের আহ্বায়ক সৈয়দ মনসুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘“এসো মিলি প্রাণের মেলায়” স্লোগান সামনে নিয়ে আমরা ৫০ বছরের শিক্ষার্থীদের নিয়ে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের আয়োজন করেছি। শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ এই অঞ্চলের প্রাচীন বিদ্যাপীঠ। উৎসবে দেশ ও বিদেশের কয়েক হাজার প্রাক্তন শিক্ষার্থী এ উৎসবে মিলিত হয়েছেন। এর আগে আমরা বিভিন্নভাবে প্রচারণা করে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করার আহ্বান জানিয়েছিলাম। দেশ ও বিদেশ থেকে হাজারো শিক্ষার্থী এই মিলনমেলায় অংশ নিতে আসেন।’