রাষ্ট্রের কোথাও গণতন্ত্র নেই: ছাত্র ফেডারেশন

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। গতকাল সোমবার বাম গণতান্ত্রিক জোটের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে এই সমাবেশ করে ছাত্র সংগঠনটি।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। গতকাল সোমবার বাম গণতান্ত্রিক জোটের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে এই সমাবেশ করে ছাত্র সংগঠনটি।

শিক্ষাঙ্গন কিংবা রাষ্ট্রের কোথাও গণতন্ত্র নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের নেতা-কর্মীরা। তাঁরা বলছেন, ছাত্র-জনতার টুঁটি চেপে ধরে স্বৈরাচারী দুঃশাসনকে আড়াল করার ব্যর্থ চেষ্টা করছে সরকার।

আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের নেতা-কর্মীরা এসব কথা বলেন। গতকাল সোমবার (বাম গণতান্ত্রিক জোটের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1631907) প্রতিবাদে এই সমাবেশ করে ছাত্রসংগঠনটি।

সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, সরকার জনমানুষের সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়েছে। নাগরিকের যদি কথা বলার, মিছিল-মিটিং করার অধিকারই না থাকে, তাহলে তার মর্যাদাও থাকে না। তিনি আরও বলেন, যারা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছেন, তাঁদের টুঁটি চেপে ধরে সরকার তার ফ্যাসিবাদী চেহারাকে আরও স্পষ্ট করছে। সরকার যদি এভাবে দমন-পীড়ন-দুঃশাসন চালাতে থাকে, তাহলে অচিরেই সরকারকে ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখোমুখি হতে হবে।

সমাবেশ থেকে এই সরকার এবং সংসদ বাতিল করাসহ বাম গণতান্ত্রিক জোটের মিছিলে জোনায়েদ সাকি, সাইফুল হক, আফরোজা লিপি, ছাত্রনেতা জাহিদ সুজন, সৈকত আরিফ, মাসুদ রানা, সালমান সিদ্দিকীসহ অন্য নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়। পাশাপাশি ওই হামলায় দোষী ব্যক্তিদের বিচারের দাবি জানানো হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিক রেজা, ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক সৈকত আরিফ, সম্পাদক রূপক রায় প্রমুখ।