চার লাখ টাকায় কক্সবাজার থেকে ইয়াবা আনতে গিয়ে ধরা

গ্রেপ্তার দুই আসামি সাইজুদ্দিন হাওলাদার (বাঁয়ে) ও খায়রুল বাশার। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেপ্তার দুই আসামি সাইজুদ্দিন হাওলাদার (বাঁয়ে) ও খায়রুল বাশার। ছবি: সংগৃহীত

টাকার বিনিময়ে ট্রাকে করে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ৫০ হাজার ইয়াবা আনার সময় দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। জব্দ করা হয়েছে ইয়াবা বহনকারী ট্রাকটি।

গ্রেপ্তার দুই আসামি হলেন কক্সবাজারের টেকনাফের মহেশ কালিয়াপাড়ার খায়রুল বাশার (৩৬) এবং শরীয়তপুরের সখিপুর থানার গাজীপুরা গ্রামের সাইজুদ্দিন হাওলাদার (২২)। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত (সিএমএম) বুধবার দুই আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিবির উত্তর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, চার লাখ টাকার বিনিময়ে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ৫০ হাজার ইয়াবা আনেন ট্রাকের চালক। গত ২৯ ডিসেম্বর ট্রাক নিয়ে কক্সবাজার থেকে রওনা দেন তিনি। গোপন সংবাদ পেয়ে মঙ্গলবার রাতে ঢাকার গুলশানের বারিধারা র‍্যাংগস ভবনের পূর্বপাশের প্রধান সড়কের ওপর থেকে ইয়াবাসহ ট্রাকটি জব্দ করা হয়। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান ট্রাকচালক। চালক পালিয়ে গেলেও দুজনকে আটক করা হয়। পরে এ ঘটনায় ডিবির উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গুলশান থানায় মামলা করেন।

জব্দ করা ৫০ হাজার ইয়াবা। ছবি: সংগৃহীত
জব্দ করা ৫০ হাজার ইয়াবা। ছবি: সংগৃহীত

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক সাইরুল ইসলাম ঢাকার আদালতে এক প্রতিবেদন দিয়ে বলেন, সংঘবদ্ধ এই মাদক ব্যবসায়ী চক্রটি কক্সবাজার থেকে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় ইয়াবা এনে ব্যবসা করে আসছিল। প্রত্যেকেই পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। ট্রাকের চালক মিজান এবং আসামি শাহ আলম এখনো পলাতক আছেন।

ডিসি মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, নতুন বছর উপলক্ষে মাদকসেবীদের লক্ষ্য বানিয়ে চক্রটি কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ইয়াবা আনছিল। কড়াকড়ি থাকার কারণে ইয়াবা আনার জন্য ট্রাকের চালক নানা কৌশলের আশ্রয় নেন। ইয়াবাগুলো ট্রাকের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা হয়, যাতে কোনোভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সন্দেহ করলেও ইয়াবা খুঁজে না পান। মূলত, ঢাকা ও গাজীপুরের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে এই ইয়াবা পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক সাইরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এই মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সব সদস্যের নাম জানা সম্ভব হবে এবং প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।