রাবিতে বিশেষ বিবেচনায় তিনজনকে ভর্তির সুযোগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনজন ভর্তি-ইচ্ছুক বিশেষ বিবেচনায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তাদের একজন ভর্তি পরীক্ষায় পাসই করতে পারেননি। গত মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

এই তিনজন ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে (সম্মান) ‘বি’ ইউনিটে (ব্যবসায় শিক্ষা ও আইবিএ) ভর্তি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। গত ২১ অক্টোবর ৫৬০টি আসনের বিপরীতে বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

ভর্তির সুযোগ পাওয়া একজন নার্গিস খাতুন (রোল-১৩৬৭২)। তিনি এমসিকিউ পরীক্ষায় ২১ পাওয়ায় তাঁর লিখিত পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের যোগ্য হয়নি। দ্বিতীয়জন মো. আশিকুর রহমান (রোল-১৪১৪৮) এমসিকিউতে ৩৪ ও লিখিত পরীক্ষায় ৭.৫০ সহ মোট ৪১.৫০ পেয়ে পাস করেছেন। তবে মেধা তালিকায় ৩,৮৮৩ তম স্থান লাভ করায় বিষয় পছন্দক্রম ফরম পূরণের যোগ্য হননি। তৃতীয়জন রিন্টু তঞ্চঙ্গ্যা (রোল-১৪৫২৪) এমসিকিউতে ৩৩ ও লিখিত পরীক্ষায় ১৬ সহ মোট ৪৯ পেয়ে পাস করেছেন। তবে মেধা তালিকায় ২,৪১৯ তম স্থান লাভ করায় বিষয় পছন্দক্রম ফরম পূরণের যোগ্য হননি।

বিশেষ বিবেচনায় নার্গিস খাতুন হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যব্যবস্থা, আশিকুর রহমান মার্কেটিং এবং রিন্টু তঞ্চঙ্গ্যা টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একাডেমি শাখা থেকে পাঠানো পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে ভর্তি উপ-কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাদের তিনজনকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির একটি সূত্রে জানা গেছে, রিন্টু তঞ্চঙ্গ্যা ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী কোটায় ভর্তি হয়েছেন। তবে ফরম পূরণের সময় ভুলবশত কোটা নির্বাচন না করায় বিষয় পছন্দক্রম ফরম পূরণের যোগ্য হননি। পরে উপ-কমিটির সিদ্ধান্তে তাঁকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া নার্গিস খাতুন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলোয়াড় হওয়ায় বিশেষ বিবেচনায় ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তবে আশিকুর রহমানের ব্যাপারে কিছু জানা সম্ভব হয়নি।

‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক একে শামসুদ্দোহা বলেন, ‘বিশেষ বিবেচনার উপযোগী বলেই উপ-কমিটির সিদ্ধান্তে তাঁরা সবাই ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।’