চট্টগ্রামে 'বন্দুকযুদ্ধে' হত্যা মামলার আসামি নিহত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার আদর্শনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম মো. এমদাদ (৩৮)। তিনি নগরের বায়েজিদ বোস্তামী শেরশাহ এলাকার ফরিদ আহম্মদের ছেলে। পুলিশের ভাষ্য, তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে চারটি মামলা রয়েছে। যুবলীগ নামধারী এ এম মহিউদ্দিন ও দিদারুল আলমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত এমদাদ।

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোয় ‌‘আতঙ্কে ঘুম হারাম বায়েজিদ বোস্তামীর দেড় লাখ মানুষের’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। দুই শতাধিক শিল্পকারখানায় চাঁদাবাজি, দখল-বেদখলকে কেন্দ্র করে বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় সংঘর্ষ, গোলাগুলি নিত্যদিনের ঘটনা। গত মঙ্গলবার রাতে বায়েজিদ বোস্তামী থানার শেরশাহ এলাকায় স্থানীয় ২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবুর বাসায় দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে হকার্স লীগের নেতা মো. রিপনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। নিহত রিপন কাউন্সিলরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। কাউন্সিলর ও যুবলীগ নামধারী মহিউদ্দিনের অনুসারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছে। পুলিশ বলছে, এরই অংশ হিসেবে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জেরে রিপনকে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরপরই গ্রেপ্তার আসামি মো. মোবিন আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন। এতে বলা হয় এমদাদ রিপনকে ছুরিকাঘাত করেন। এ ছাড়া সিসি টিভির ফুটেজেও ঘটনার সময় এমদাদকে দেখা যায়।

রিপন নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর বড় ভাই মো. আজাদ বাদী হয়ে মহিউদ্দিন, দিদার, এমদাদসহ ৩০ জনকে আসামি করে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হত্যা মামলা করেন।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে আদর্শনগর এলাকায় এমদাদকে গ্রেপ্তার করতে অভিযানে যায় পুলিশ। পুলিশ যাওয়ার পরপরই এমদাদের সহযোগীরা গুলি করতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির একপর্যায়ে এমদাদের সহযোগীরা পালিয়ে যান। পরে এমদাদকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি ও চাপাতি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।