কোটি টাকার সোনা পাচারের অভিযোগ, ৩ বিমানকর্মী গ্রেপ্তার

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোয়া দুই কেজির বেশি সোনা পাচারের অভিযোগে বিমানের তিন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে আজ শনিবার গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। ছবি : এপিবিএনের সৌজন্যে
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোয়া দুই কেজির বেশি সোনা পাচারের অভিযোগে বিমানের তিন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে আজ শনিবার গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। ছবি : এপিবিএনের সৌজন্যে

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোয়া দুই কেজির বেশি সোনার চালান জব্দ করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। এসব সোনা পাচারের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন মো. সুমন শিকদার (৩৪), শাহিন হোসেন (২৭) ও বেলাল আকন (২৮)।

আজ শনিবার সকালে বিমানবন্দরের কনকোর্স হল থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এপিবিএন পক্ষ থেকে জানানো হয়, গ্রেপ্তার তিনজন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচ্ছন্নতাকর্মী। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সোনার মূল্য প্রায় সোয়া কোটি টাকা।

বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপস অ্যান্ড মিডিয়া) মো. আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এপিবিএন সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ১০ টা ২৫ মিনিটে আবুধাবি থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় আসে বিমানের বিজি ০২৮ ফ্লাইট। এই বিমান উড়োজাহাজের পরিচ্ছন্নতার কাজ করেন সুমন, শাহিন ও বেলাল। বিমানবন্দরের ১ নম্বর বে-তে যাত্রী নামানোর জন্য ডকিং করার পর উড়োজাহাজটিতে যান তাঁরা। পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ হলে উড়োজাহাজ থেকে নেমে আসার পর বিমানের নিরাপত্তায় থাকা এপিবিএনের সদস্যরা সুমনকে তল্লাশি করতে চান। এতে সুমন বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু করেন। এরপর সুমন, শাহিন ও বেলালকে বিমানবন্দরে এপিবিএন কার্যালয়ে এনে তল্লাশি করা হয়। এ সময় তল্লাশি করলে সুমনের দুই জুতার সুকতলায় সোনার ২০টি বার পাওয়া যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জানান, কালাম নামের বিমানের এক টেকনিশিয়ান বিমানের মধ্যেই তাঁকে সোনার বারগুলো হস্তান্তর করেন। এই কাজে ২০ হাজার টাকা পেতেন বলে জানান সুমন। জব্দ হওয়া সোনার প্রতিটি বারের ওজন ১১৬ গ্রাম। ২০টি বারের মোট ওজন ২ কেজি ৩২০ গ্রাম। এর বাজারমূল্য ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

সুমন, বেলাল ও শাহিনের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের চোরাচালানবিরোধী ধারায় মামলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার সুমন, শাহিন ও বেলাল বিমানের প্রকৌশল শাখার পরিচ্ছন্নতাকর্মী। অস্থায়ী ভিত্তিতে তাঁরা কাজ করেন। সোনা পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনই আর কাজে ফিরতে পারবেন না।