বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, অভিযোগ ইশরাকের

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। ফাইল ছবি
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। ফাইল ছবি

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। তিনি বলেছেন, প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে সরকারদলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসাধু কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে হুমকি দিচ্ছেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে বিভিন্ন মামলার সম্মুখীন হতে হবে বলেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

রাজধানীর গোপীবাগে সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আজ শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ইশরাক।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাজউদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুস সাহেদকে একই ওয়ার্ডের ক্ষমতাসীন দলের কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকেরা হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে বিএনপি। এই দুই ঘটনার বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন অবিভক্ত ঢাকা সিটির মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেন। অভিযোগ জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

মেয়র প্রার্থী হিসেবে নিজে হুমকি পেয়েছেন কি না —সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘প্রশ্নই ওঠে না। আমাকে কে হুমকি দেবে?’ এখন পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণে তিনজন কাউন্সিলরকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিএনপির বৈদেশিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক বলেন, এখন থেকে নির্বাচন পর্যন্ত নতুন করে কোনো পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ যাতে না হয়, এ বিষয়ে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। যেসব কাউন্সিলর প্রার্থীরা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন, তাঁদের কীভাবে নিরাপত্তা দেওয়া যায় এই বিষয়েও কথা বলেছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁকে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। তবে অতীতেও এমন আশার বাণী শুনেছেন জানিয়ে ইশরাক বলেন, ‘অতীতে অভিযোগ দেওয়ার পর কমিশনের তরফ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এবার পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা আশ্বাসের বাণী শুনিয়েছেন। আমরাও আশাবাদী হতে চাই।’