ঢাকার সড়কে অজ্ঞাত দুই লাশ

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

রাজধানীর খিলক্ষেত ও পল্লবীতে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া দুইটায় খিলক্ষেত থানাধীন কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে একজনের মরদেহ ও শনিবার সকালে পশ্চিম কালশী রোড থেকে অপর জনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, খিলক্ষেতে উদ্ধার হওয়া মরদেহের গলায় মাফলার প্যাঁচানো ছিল। ওই পুরুষের বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর। তাঁর পরনে সাদা প্রিন্টের ফুলহাতা শার্ট, নীল রঙের সোয়েটার ও লাল চেকের ট্রাউজার ছিল। গায়ের রং শ্যামলা।

আর পল্লবীর পশ্চিম কালশী রোড থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যক্তি পথচারী ছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে একটি কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁর বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর হবে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

খিলক্ষেত থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোফাখখারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ৩০০ ফিট রাস্তা থেকে বনানীগামী কুড়িল ফ্লাইওভারের ওপরে ওই লাশটি চিত হয়ে পড়েছিল। পুলিশের জরুরি হেল্প লাইন ৯৯৯ এ ফোন করে কেউ বিষয়টি জানায়। এরপর থানা থেকে তারা গিয়ে লাশটি উদ্ধার করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তিকে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে। এসআই মোফাখখারুল ইসলাম জানান, লাশের পরিচয় জানার জন্য তাঁরা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডির) সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সিআইডি মরদেহের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে।

এদিকে পল্লবীতে পাওয়া ওই মরদেহের পরনে কালো লুঙ্গি, হালকা লাল রঙ্গের পাঞ্জাবি ছিল। তাঁর মুখে কাঁচাপাকা আনুমানিক তিন ইঞ্চি লম্বা দাঁড়ি রয়েছে। মাথায় সাদা ব্যান্ডেজ ছিল। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে স্থানীয় ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে পল্লবী থানার উপপরিদর্শক মো. মিজানুর রহমান সেখান থেকে লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

পল্লবী থানার এসআই মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। কাভার্ড ভ্যানটি আটক করা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।