নারী নির্যাতনের বিচার কেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হচ্ছে না, প্রশ্ন মহিলা পরিষদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় বিচারের দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের বিপরীত দিকে মানববন্ধন করে মহিলা পরিষদ। ঢাকা, ৬ জানুয়ারি। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় বিচারের দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের বিপরীত দিকে মানববন্ধন করে মহিলা পরিষদ। ঢাকা, ৬ জানুয়ারি। ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় বিচার দাবি করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ প্রশ্ন তুলেছে, নারী নির্যাতনের বিচার কেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হচ্ছে না। আজ সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক মানববন্ধনে এ প্রশ্ন তোলা হয়।

মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফৌওজিয়া মোসলেম বলেন, ধর্ষণ সামাজিক ব্যাধি, যা দুর্নীতিকে সঙ্গে নিয়ে হাঁটছে। দুর্নীতি বন্ধ না হলে নারী নির্যাতন বন্ধ হবে না। তিনি পরিষদের পক্ষ থেকে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রশ্ন তোলেন, ‘নারী নির্যাতনের বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের কেন হচ্ছে না?’

ফৌওজিয়া মোসলেম বলেন, ধর্ষককে প্রমাণ করতে হবে সে ধর্ষণ করেনি—এমন আইন করা উচিত।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ শাইখ ইমতিয়াজ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘মুজিব বর্ষে এ ধরনের অপরাধের জন্য দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আইন উপহার দিন।’

বিচারহীনতার কারণে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে উল্লেখ করে মহিলা পরিষদের সহসভাপতি রেখা চৌধুরী বলেন, তনু, সাগর-রুনিসহ অনেক আলোচিত হত্যার বিচার হয়নি।

সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক তৌহিদুল হক বলেন, দেশে ও সমাজে যখন নিশ্চিন্তে চলাফেরার সুযোগ না থাকে, তখন নিরাপদ পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তিনি অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

মানববন্ধনে মহিলা পরিষদ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।