সম্রাট ও খালেদের স্ত্রীসহ পাঁচজনকে তলব

ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও খালেদ মাহমুদ ভূইয়া। ফাইল ছবি
ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও খালেদ মাহমুদ ভূইয়া। ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের স্ত্রী ও বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূইয়ার স্ত্রীসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের অনুসন্ধান দলের পক্ষ থেকে সম্প্রতি তাঁদের তলব করে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এঁদের মধ্যে খালেদ মাহমুদের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার, খালেদের ভাই মাসুদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও খালেদের আরেক ভাই হাসান মাহমুদের স্ত্রী মনসুরা ইয়াসমিনকে ১২ জানুয়ারি দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে। ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের স্ত্রী শারমিন চৌধুরী ও সম্রাটের ভাই রফিককে ১৩ জানুয়ারি দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে তাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট ও তিন বছরের আয়কর রিটার্নের কপি নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।

গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হলে প্রথম দিনই রাজধানীর ইয়াংমেনস ফকিরাপুল ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে গ্রেপ্তার হন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক (পরে বহিষ্কার করা হয়) খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও অর্থপাচার আইনে আলাদা মামলা করে র‍্যাব। ৫ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২১ অক্টোবর মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। মামলার তদন্ত চলছে।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর আবারও আলোচনায় আসে সম্রাটের নাম। তবে তাঁকে গ্রেপ্তারে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সময় লেগে যায়। সহযোগী আরমানসহ সম্রাটকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। বন্য প্রাণীর চামড়া রাখার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ছয় মাসের কারাদণ্ডের পাশাপাশি সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা হয়। মাদক পাওয়ায় আরমানকেও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ১২ নভেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।