শিশু সায়মাকে ধর্ষণের পর হত্যা: সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু

শিশু সায়মাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হারুন অর রশিদ। ছবি: সংগৃহীত
শিশু সায়মাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হারুন অর রশিদ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ওয়ারীতে সিলভারডেল স্কুলের নার্সারির ছাত্রী সামিয়া আফরিন সায়মাকে (৭) ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বুধবার মামলার বাদী শিশুটির বাবা আবদুস সালাম এবং বাসার দারোয়ান ফরিদ মোল্লা সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার কাজ শুরু হলো।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক কাজী আব্দুল হান্নানের আদালতে এ সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ১৪ জানুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

গত ২ জানুয়ারি এ মামলার একমাত্র আসামি হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সেদিন সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়েছিল।

গত বছরের ৫ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হারুন অর রশিদকে আসামি করে ডিবি পুলিশ অভিযোগপত্র দেয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, শিশু সামিয়া আফরিনকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন হারুন। শিশুটির গলায় শক্ত পাটের দড়ি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।

২০১৯ সালের ৫ জুলাই সন্ধ্যার পর থেকে শিশু সায়মার খোঁজ পাচ্ছিল না তার পরিবার। রাত পৌনে আটটার দিকে ওয়ারীর বনগ্রাম মসজিদ এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনের অষ্টম তলার একটি কক্ষ থেকে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। পরের দিন সায়মার বাবা আবদুস সালাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।

৭ জুলাই কুমিল্লার তিতাস থানার ডাবরডাঙ্গা এলাকা থেকে আসামি হারুনকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে।পরের দিন তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে আটক আছেন।রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি আবদুল বারী।