সীতাকুণ্ডে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে দুই শিশুসহ তিনজন। বুধবার রাতে উপজেলার কুমিরা ও সলিমপুরে দুর্ঘটনা দুটি ঘটে।

নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন- মিরসরাই উপজেলার সমিতির হাট গ্রামের বাসিন্দা মেজবা উদ্দিন (৩৫) ও একই উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল লতিফপুরের বাসিন্দা মো. আবদুল্লাহ (৩৩)। অপর দুর্ঘটনার নিহত নারীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফকিরহাট এলাকায় এক নারী তাঁর পাঁচ বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে মহাসড়ক পার হওয়ার জন্য সড়ক বিভাজকের মাঝে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় দুটি ট্রাক একে অপরকে ওভারটেক করতে গিয়ে ওই নারীকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই নারী মারা যান। দুর্ঘটনার পর রাত সাড়ে দশটার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা ফকিরহাট এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সীতাকুণ্ড জোনের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) রফিক আহম্মদ মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ওই নারী নিহত হওয়ার পর ফকিরহাট এলাকায় পদচারী সেতু নির্মাণের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।

এর আগে রাত আটটার দিকে কুমিরা ইউনিয়নের গুল আহম্মদ জুট মিলস এলাকায় আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটে। কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সাইদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকামুখী একটি প্রাইভেটকার গুল আহম্মদ জুট মিলস এলাকায় পৌঁছালে একটি শিশু হুট করে গাড়িটির সামনে দিয়ে দৌড় দেয়। এ সময় শিশুটিকে রক্ষা করতে গিয়ে গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টো দিকের লেনে গিয়ে পড়ে। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের চাপায় গাড়িতে থাকা দুই যাত্রীসহ তিনজন আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মেজবাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আবদুল্লাহ নামে আরেকজন মারা যান। এ ঘটনায় গাড়ির চালক ও শিশু নাহিদ আহত হয়।