ঢাবির ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মজনু ৭ দিনের রিমান্ডে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মজনুকে রিমান্ড শুনানির জন্য আদালতে নেওয়া হয়। সিএমএম কোর্ট, ঢাকা, ৯ জানুয়ারি। ছবি: দীপু মালাকার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মজনুকে রিমান্ড শুনানির জন্য আদালতে নেওয়া হয়। সিএমএম কোর্ট, ঢাকা, ৯ জানুয়ারি। ছবি: দীপু মালাকার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মজনুকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। 

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন।

ঢাবির ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় আজ মজনুকে ঢাকার আদালতে হাজির করে ডিবি। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ডিবি ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী রাজধানীর কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে গলফ ক্লাবসংলগ্ন স্থানে পৌঁছান। এ সময় আসামি মজনু তাঁকে পেছন থেকে গলা ধরে মাটিতে ফেলে দেন। তাঁর গলা চিপে ধরেন। ছাত্রী চিৎকার করতে গেলে মজনু তাঁকে কিলঘুষি মারেন। ভয়ভীতি দেখান। ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে গেলে তাঁকে ধর্ষণ করেন আসামি মজনু।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মজনুকে ঢাকার আদালতে হাজির করে ডিবি। তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। সিএমএম কোর্ট, ঢাকা, ৯ জানুয়ারি। ছবি: দীপু মালাকার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মজনুকে ঢাকার আদালতে হাজির করে ডিবি। তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। সিএমএম কোর্ট, ঢাকা, ৯ জানুয়ারি। ছবি: দীপু মালাকার

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মজনুকে রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১। আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, তাঁর কাছ থেকে ভুক্তভোগী ছাত্রীর খোয়া যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। আসামি মজনু একজন অভ্যাসগত ধর্ষক। প্রতিবন্ধী ও ভ্রাম্যমাণ নারীদের ধর্ষণ করে আসছেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আর কেউ জড়িত কি না, তা জানতে এই আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

আদালত বক্তব্য শুনে মজনুকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল্লাহ আবু। রাষ্ট্রপক্ষকে সহায়তা করে বাংলাদেশ আইন সমিতি।

ধর্ষণের এই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্বে আছে ঢাকা মহানগর ডিবি।