ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র গুরুতর জখম

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রাকিব হোসেন নামের এক কলেজছাত্র গুরুতর জখম হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর ভৈরব প্রান্তে এ ঘটনা ঘটে।

রাকিব পৌর শহরের পলতাকান্দা এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে ও হাজী আসমত কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য, রাকিবের বড় ভাই সাকিল একটি সিমেন্ট কোম্পানির ট্রাকচালক। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সাকিল গাড়িটি সেতুর ভৈরব প্রান্তে রাখেন। রাকিবকে ট্রাকে বসিয়ে রেখে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে সাকিল অন্যত্র যান। রাকিব ওই সময় ট্রাকে বসে মুঠোফোনে ফেসবুক ব্যবহার করছিলেন। একপর্যায়ে একজন তরুণ এসে গ্লাস খুলতে বলেন। গ্লাস খুলতেই তিনি মুঠোফোন নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু রাকিব দিচ্ছিলেন না। ওই সময় ওই তরুণ রাকিবের গলায় ও পিঠে ছুরিকাঘাত করেন। এতে রাকিব রক্তাক্ত জখম হন। তখন ছিনতাইকারী মুঠোফোনটি নিয়ে চলে যান।

রাকিবকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে পরে তাঁকে বাজিতপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাকিবকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

রাকিবের মামা কাকলি খেলাঘর আসর ভৈরব শাখার সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসক জানিয়েছেন, রাকিবের গলার ক্ষত বেশ গভীর। ঢাকায় নেওয়ার পর রাতেই একটি অস্ত্রোপচার হয়।

ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাহালুল আলম খান বলেন, ছিনতাইয়ের খবর জেনে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। চক্রটি ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, দুই বছর ধরে ভৈরবের প্রধান সড়কগুলো ছিনতাইকারীর নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। আগে শুধু রাতে হলেও এখন দিনে ছিনতাই হচ্ছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো ঘটনার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে কয়েক মাস আগে ছিনতাইয়ের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে ওঠে। এরপর পুলিশি তৎপরতার কল্যাণে বেশ কয়েকটি সড়কে ছিনতাইয়ের মাত্রা কমে আসে। বর্তমানে স্টেশন সড়ক আর সেতুর ভৈরব প্রান্ত অরক্ষিত রয়েছে।