মুন্সিগঞ্জ থেকে নিখোঁজ অপর প্রকৌশলীর লাশ উদ্ধার

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে লিখন সরকার (৩৩) নামের আরও এক প্রকৌশলীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার চরসন্তোষপুর বুড়িগঙ্গা নদীর উত্তর পাড় থেকে আজ শনিবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে গতকাল শুক্রবার মাহফুজুর রহমান (৩২) নামের আরেক প্রকৌশলীর লাশ মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থেকে উদ্ধার করা হয়।

নিহত লিখন সরকার ও মাহফুজুর রহমান আশুলিয়ার বাংলা ক্যাট নামের একটি কোম্পানিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। লিখন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বাজার বেতেঙ্গা এলাকার রঞ্জিত সরকারের ছেলে।

স্থানীয় লোকজন জানান, আজ সকাল থেকে চরসন্তোষপুরের বুড়িগঙ্গা নদীতে একটা পচা লাশ ভাসছিল। লাশ থেকে উৎকট গন্ধ আসছিল। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

মুন্সিগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরে নিহত লিখনের ভাই লিটু সরকার লাশটি শনাক্ত করেন। লাশের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ধারণা করা হচ্ছে, পানিতে ডুবেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা কাউকে সন্দেহ করেননি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এর আগে ৫ জানুয়ারি বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় রাজাপুর এলাকায় বুড়িগঙ্গা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ভেকু মেরামতের কাজে যান লিখন ও মাহফুজ। কাজ শেষে বাড়িতে না ফেরায় তাঁর স্বজনেরা বাংলা ক্যাট কোম্পানির কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানান। তাঁরা বুড়িগঙ্গা এন্টারপ্রাইজের মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে লিখন ও মাহফুজকে বুড়িগঙ্গা নদী পার করে দিচ্ছিলেন বুড়িগঙ্গা এন্টারপ্রাইজের ট্রলারচালক। ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে ট্রলারটি বক্তাবলি এলাকায় পৌঁছালে একটি জাহাজ ট্রলারের কাছাকাছি চলে আসে। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে চালকসহ তাঁরা দুজন নদীতে ঝাঁপ দেন। ট্রলারচালক সাঁতরে তীরে উঠলেও লিখন ও মাহফুজের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার চার দিন পর গতকাল সিরাজদিখান উপজেলার পুরান ভাসানচর এলাকার ধলেশ্বরী নদী থেকে মাহফুজুরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।