মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষে মা-ছেলে নিহত, আহত ৩

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বরিশাল থেকে ঢাকাগামী এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের সঙ্গে আরেকটি লঞ্চের সংঘর্ষে দুজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মাঝেরচরে মেঘনা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহত দুজন হলেন মাহমুদা বেগম (২২) ও তাঁর ছেলে মোমিন (৬)। মাহমুদা বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভান্ডাকাঠি গ্রামের মো. রুবেল মিয়ার স্ত্রী।

দুর্ঘটনায় আহত তিনজন হলেন নূরজাহান বেগম (২২), আইফুলা বেগম (৬৫) ও হযরত আলী (৭০)। তাঁদের মধ্যে নূরজাহানের অবস্থা গুরুতর। তাঁকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চাঁদপুর নৌপুলিশ স্টেশনের পরিদর্শক মো. আবু তাহের আজ সকালে দুর্ঘটনার তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করছেন।

কীর্তনখোলা লঞ্চ কোম্পানির কাউন্টার ব্যবস্থাপক মো. ঝন্টু জানান, ঢাকা থেকে পিরোজপুরের হুলারহাটগামী এমভি ফারহান-৯ নামের একটি লঞ্চ কুয়াশার মধ্যে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের মাঝ বরাবর সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চের নিচতলা ও দোতলার অংশ দুমড়েমুচড়ে যায় এবং কয়েকজন যাত্রী আহত হন।

যেহেতু মাঝনদীতে ঘটনাটি ঘটেছে, তাই আহত যাত্রীদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চ‌টি বরিশাল নদীবন্দর থেকে রোববার রাত ৯টার দিকে ৭০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দে‌শে এবং হুলারহাট থে‌কে ফারহান ৯ লঞ্চ‌টিও ঢাকার উদ্দে‌শে রওনা হয়। লঞ্চ দুটি হিজলা উপজেলা সংলগ্ন মেঘনা নদীর মাঝেরচর এলাকায় পৌঁছালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

কীর্তনখোলা লঞ্চের ব্যবস্থাপক বেল্লাল হোসেন অভিযোগে করেন, ফারহান-৯ লঞ্চে কোনো আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকার কারণেই কুয়াশার মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের উপরিভাগের বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তলা ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়ায় হতাহতদের নিয়ে লঞ্চটিকে নিয়ে চাঁদপুর হয়ে ঢাকায় গেছে। সকাল ৯ টায় লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাটে পৌঁছায়।

শহিদুল ইসলাম নামে কীর্তনখোলা-১০-এর এক যাত্রী জানান, রাত ১২টার দিকে মেঘনা নদীতে তাদের বহনকারী লঞ্চ পৌঁছালে আকস্মিক বিকট শব্দ আর ঝাঁকুনিতে কেঁপে ওঠেন সবাই। আতঙ্কিত যাত্রীরা ছোটাছুটি শুরু করেন। এরপর তাঁরা নিশ্চিত হন অন্য একটি লঞ্চ হুমড়ে পড়েছে কীর্তনখোলার ওপর। এতে ডেকের দুই যাত্রী নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হন।

ফারহান-৯ লঞ্চের কেরানি আল আমিন বলেন, লঞ্চের সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দুর্ঘটনায় লঞ্চটির ৫-৬ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।