এগারসিন্দুর ট্রেনে ডাকাতির মামলায় চারজনকে কারাদণ্ড

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এগারসিন্দুর আন্তনগর এক্সপ্রেস টেনে ডাকাতির ঘটনায় চারজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই মামলার আরও ৮ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আবদুর রহিম এই রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন মোহাম্মদ আলী (৪০), সোহেল ওরফে টেপ্পা (২২), সোহাগ মিয়া (৩১) ও আবদুল লতিফ (৪২)। তাঁদের মধ্যে সোহেল ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়ার বাসিন্দা। অন্যদের বাড়ি পৌর শহরের জগন্নাথপুরের লক্ষ্মীপুর এলাকায়। রায় ঘোষণার সময় আদালতে মোহাম্মদ আলী ও লতিফকে হাজির করা হয়।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, এগারসিন্দুর আন্তনগর ট্রেন ঢাকা-কিশোরগঞ্জের মধ্যে চলাচল করে। এক জোড়া ট্রেন দিনে চারবার আসা-যাওয়া করে। ২০১৮ সালের ৮ জানুয়ারি এগারসিন্দুর প্রভাতি ট্রেনটি ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। ভৈরব স্টেশনে বিরতির দেওয়ার পর ইঞ্জিন ঘুরিয়ে কিছুক্ষণ পর কিশোরগঞ্জের উদ্দেশে ট্রেনটি স্টেশন ছাড়ে। প্ল্যাটফর্ম ছাড়ার পর ডাকাত দল একটি কোচে যাত্রীদের ওপর চড়াও হয়ে ডাকাতি শুরু করে। ডাকাত দলের হামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা গ্রামের হেলাল মিয়া ছুরিকাঘাতে আহত হন। ডাকাতেরা ওই যাত্রীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। হেলাল ওই দিনই ভৈরব রেলওয়ে থানায় ট্রেনে ডাকাতির ঘটনার অভিযোগ এনে মামলা করেন।

মামলাটির সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কাসেম আকন্দ। আবুল কাসেম আকন্দ ২০১৯ সালের ১৬ মে ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পুলিশ এই সময়ের মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

আবুল কাসেম আকন্দ বর্তমানে ভৈরব রেলওয়ে থানায় কর্মরত নেই। অন্যত্র বদলি হয়ে গেছেন।

ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস বলেন, ‘আমি এই থানায় যোগ দিয়েছি সাড়ে চার মাস আগে। এ জন্য ট্রেন ডাকাতির তথ্যটি জানা নেই।’