ঢাকার চারপাশে নদী দূষণমুক্ত রাখতে মহাপরিকল্পনা হয়েছে

শিল্পকারখানার বর্জ্য, কৃষিতে ব্যবহৃত সার-কীটনাশক এবং ঘরবাড়ির আবর্জনাও মিশে যাচ্ছে নদীতে। এর প্রভাবে সবচেয়ে দূষিত হচ্ছে তুরাগ নদের পানি। ২০১৯ সালের ১৭ মার্চ বিকেলে আশুলিয়ার বিরুলিয়ায় তুরাগ নদে। ফাইল ছবি
শিল্পকারখানার বর্জ্য, কৃষিতে ব্যবহৃত সার-কীটনাশক এবং ঘরবাড়ির আবর্জনাও মিশে যাচ্ছে নদীতে। এর প্রভাবে সবচেয়ে দূষিত হচ্ছে তুরাগ নদের পানি। ২০১৯ সালের ১৭ মার্চ বিকেলে আশুলিয়ার বিরুলিয়ায় তুরাগ নদে। ফাইল ছবি

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকার চারপাশে নদীর পানি দূষণমুক্ত রাখতে ঢাকা ওয়াসা একটি সুয়ারেজ মাস্টার প্ল্যান (মহাপরিকল্পনা) প্রণয়ন করেছে। সে আলোকে রাজধানীর চারপাশে চারটি সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট নির্মাণ করা হবে।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ সালমা ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, মাস্টার প্ল্যানের অংশ হিসেবে বর্তমানে ‘দাশেরকান্দি সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট’ নামে একটি পয়ঃশোধনাগার নির্মাণাধীন রয়েছে। যা সমাপ্ত হলে সরাসরি পয়োবর্জ্য নদীতে গিয়ে যে দূষণ হয় তা অনেকাংশে বন্ধ হবে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

সংরক্ষিত নারী আসনের লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে তাজুল বলেন, ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা চলমান আছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডভিত্তিক প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত মশার লার্ভা নিধনের জন্য লার্ভিসাইডিং ও বিকেলে উড়ন্ত মশা নিধনের জন্য এডাল্টিসাইড কার্যক্রম নিয়মিত চলছে। এ ছাড়াও প্রতি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ১৫টি হোল্ডিংয়ে পরিদর্শনপূর্বক এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা হচ্ছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ওয়ার্ডসমূহে মশক নিধন কার্যক্রম নির্ধারিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী বছরব্যাপী পরিচালনা করা হচ্ছে। মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি সকল পর্যায়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। যেমন-অ্যাডভোকেসি সভা, র‌্যালি, লিফলেট বিতরণ, মাইকিং, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার এবং মসজিদের খতিব/ইমামদের মাধ্যমে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার।