চরফ্যাশনে স্বামীকে খুঁজতে এসে 'ধর্ষণের শিকার' গৃহবধূ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ভোলার চরফ্যাশনে স্বামীর খোঁজে এসে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবারের এ ঘটনায় চরফ্যাশন থানায় তিনজনকে আসামি করে ওই গৃহবধূ মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।

ওই গৃহবধূর বাড়ি কিশোরগঞ্জে। তিনি দুই সন্তানের জননী। গ্রেপ্তার দুজন হলেন চরফ্যাশন পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নয়ন মিস্ত্রি (২৩) ও মনির মাঝি (২৫)। নয়ন পেশায় রিকশাচালক। তাঁদের পাশাপাশি মোসলেহ উদ্দিন নামের আরেক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। রাসেল নামের এক আসামি এখনো পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী লিখেছেন, চরফ্যাশন উপজেলার এক ব্যক্তির সঙ্গে (গৃহবধূর পরিচয় প্রকাশ পাবে বলে স্বামীর নাম প্রকাশ করা হয়নি) চার থেকে পাঁচ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়। পোশাক কারখানায় কাজ করার সময় ঢাকায় তাঁদের পরিচয় হয়। সেই সূত্রেই বিয়ে। পরে তাঁদের দুটি সন্তান হয়। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছরের মাথায় ওই ব্যক্তি তাঁকে ফেলে চরফ্যাশনে চলে আসেন। গৃহবধূ তাঁর খোঁজে মঙ্গলবার ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে চরফ্যাশন উপজেলার বেতুয়া লঞ্চঘাটে নামেন। এ সময় রিকশাচালক নয়ন তাঁকে জানান, তিনি ওই ব্যক্তিকে চেনেন। এরপর নয়ন তাঁকে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাগানবাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে সারা দিন গৃহবধূকে আটকে রেখে সহযোগীদের নিয়ে ধর্ষণ করেন নয়ন। পরে সেখান থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি বিষয়টি চরফ্যাশন থানা–পুলিশকে জানান।

চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সামসুল আরেফিন বলেন, পুলিশ তাৎক্ষণিক পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তদন্তে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। মামলায় তিনজনকে আসামি করা হয়েছে। ৩ নম্বর আসামিকে পুলিশ এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ওই গৃহবধূকে ভোলা সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। বুধবার গ্রেপ্তার দুজনকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন।