জমির মালিকানার সাইনবোর্ড রক্ষায় সিসি ক্যামেরা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাস্তার পাশে দুটি খুঁটির সঙ্গে লাগানো একটি সাইনবোর্ড। জমি ক্রয়ের এই সাইনবোর্ডে ক্রেতার নাম, ঠিকানা ও জমির পরিমাণ উল্লেখ রয়েছে। এর চারপাশে গাছের সঙ্গে বসানো হয়েছে চারটি সিসি ক্যামেরা। তিনদিন ধরে এই দৃশ্য দেখে অবাক লোকজন। এই দৃশ্য রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ-মোহনপুর সড়কে।

কাজটি করেছেন উপজেলার কাচারীকোয়ালীপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম। তাঁর দাবি, একই স্থানে লাগানো একটি সাইনবোর্ড দুর্বৃত্তরা ভেঙে ফেলে। আর কেউ যাতে এটি ভাঙতে না পারে, সে জন্য চারটি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ১৫ জানুয়ারি রফিকুল ইসলাম তাঁর সম্প্রতি কেনা সাত শতাংশ জমির মালিকানার সাইনবোর্ডটি লাগান। ওই দিন রাতেই দুর্বৃত্তরা সাইনবোর্ডটি ভেঙে ফেলে। পরের দিন সকালে তিনি বিষয়টি জানার পর থানায় অভিযোগ দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। ১৭ জানুয়ারি সকালে তিনি আবার সাইনবোর্ড লাগান। একই সঙ্গে সাইনবোর্ডের চারপাশে চারটি সিসি ক্যামেরা বসান। পাশের বাড়ি থেকে ক্যামেরার ফুটেজ ডিসপ্লেতে দেখা ও মেমোরি কার্ডে সংরক্ষণ করা হয়।

আজ রোববার সকালে সরেজমিন ভবানীগঞ্জ-মোহনপুর সড়কের ভবানীগঞ্জ সরকারি কলেজের পাশের দুটি গাছে সিসি ক্যামেরাগুলো দেখা যায়। সড়কের পাশে লাগানো ক্যামেরার পাশে রয়েছে বৈদ্যুতিক বাল্ব ও তার। রাতের বেলা বাল্ব জ্বালিয়ে সাইনবোর্ডের চারপাশ আলোকিত করে রাখা হয়। কলেজের পাশের একটি বাড়িতে বসানো হয়েছে মনিটর। সেখান থেকে বৈদ্যুতিক সংযোগ নিয়ে চালু রাখা হয়েছে সিসি ক্যামেরাগুলো। সড়ক দিয়ে চলাচলকারী অনেক পথচারী এই ক্যামেরা বসানোর কারণ খোঁজার চেষ্টা করেন। কাচারীকোয়ালীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আয়েন উদ্দিন বলেন, রফিকুল ইসলাম জমির মালিকানা সংক্রান্ত সাইনবোর্ড রক্ষায় এটা করেছেন বলে তিনি জেনেছেন।

রফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করা যায়নি। সিসি ক্যামেরা বসানো বিলাসিতা নয় দাবি করে তিনি বলেন, জমিটি নিয়ে একজন ব্যক্তির সঙ্গে পরোক্ষভাবে তাঁর বিরোধ চলছে। তিনিই এই কাজ করছেন কি না, তা নিশ্চিত হতে নতুন সাইনবোর্ড লাগিয়ে ক্যামেরাগুলো বসানো হয়েছে। ক্যামেরা বসানোর কারণে কোনো দুর্বৃত্ত সাইনবোর্ডও ভাঙতে পারবে না।

বাগমারা থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাসান আলী বলেন, সাইনবোর্ড ভাঙার অভিযোগ পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে নির্দিষ্টভাবে কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়নি। সিসি ক্যামেরা বসানোর বিষয়টি তিনি জানেন না বলে জানিয়েছেন।