নিখোঁজের ৭ দিন পর মেঘনা থেকে কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

নিখোঁজের সাত দিন পর গতকাল শনিবার বরিশালের হিজলায় মেঘনা নদী থেকে কলেজছাত্র মেহেদী হাসানের (১৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার বাড়ি বরিশালের উজিরপুর উপজেলায়। সে ঢাকার উত্তরা ট্রাস্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিল। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

মেহেদীর পরিবার ও পুলিশ জানায়, ১১ জানুয়ারি ঢাকার উত্তরা থেকে মা রেহানা পারভিন ছেলে মেহেদী হাসানকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি বরিশালের উজিরপুরের উদ্দেশে রওনা হন। ডাবল কেবিন না পাওয়ায় ওই দিন সন্ধ্যায় ঢাকা সদর ঘাট থেকে মা-ছেলে এমভি সুরভি-৯ লঞ্চের দ্বিতীয় তলায় দুটি সিঙ্গেল কেবিনে ওঠেন। মেহেদী রাত সাড়ে ১১টার দিকে খাওয়া-দাওয়া সেরে মায়ের কেবিন থেকে নিজের কেবিনে ঘুমাতে চলে যায়। ১২ জানুয়ারি সকালে লঞ্চটি বরিশাল লঞ্চ টার্মিনালে পৌঁছালে মেহেদী নামার জন্য না আসায় মা রেহানা ছেলের কেবিনে গিয়ে দেখেন, ছেলের মোবাইল, ব্যাগ, জুতাসহ সবকিছু পড়ে আছে। কিন্তু ছেলেকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি লঞ্চ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে মা রেহানা পারভিন বরিশাল কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

হিজলা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, গতকাল জেলেদের জালে কলেজছাত্রের লাশ উঠে আসে। এ সময় জেলেরা থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে। পরবর্তীতে স্বজনেরা লাশটি কলেজছাত্র মেহেদী হাসানের বলে শনাক্ত করেন। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উপপরিদর্শক (এসআই) আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, লাশের শরীরে কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এটি হত্যা না আত্মহত্যা বিষয়টি পরিষ্কার নয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি পরিষ্কার হবে।