স্কুল থেকে ফেরা হলো না রবিউলের

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সকালের নাশতা খেয়ে স্কুলে গিয়েছিল মো. রবিউল হোসেন (১৪)। দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে গোসল সেরে খাবার খেয়ে খেলতে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রবিউলের আর বাড়ি ফেরা হলো না। খেলতেও যাওয়া হলো না। বিকেলে বাড়িতে ফিরেছে তার নিথর দেহ।
বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বাজালিয়া-পুরানগড়-শীলঘাটা সড়কের নাথপাড়া এলাকায় ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়ে রবিউল নিহত হয়। সে উপজেলার পরানগড় ইউনিয়নের বৈতরণী এলাকার মসজিদের ইমাম সেলিম উদ্দিনের ছেলে। রবিউল পুরানগড় শাহ সরফুদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত রবিউলের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বেলা দেড়টার দিকে স্কুল থেকে ব্যাটারিচালিত টমটমে করে বাড়িতে ফিরছিল রবিউল। কিন্তু ঘটনাস্থলে পৌঁছালে গ্রামের কাঁচা রাস্তা থেকে কাঠবোঝাই একটি ট্রলি পাকা সড়কে উঠতেই টমটমটিকে জোরে ধাক্কা দেয়। এ সময় রবিউল টমটম থেকে ছিটকে পড়ে ট্রলির চাকায় পিষ্ট হয়। স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
নিহত স্কুলছাত্রের বাবা সেলিম উদ্দিন বলেন, ছেলে সকালবেলা সামান্য নাশতা খেয়েই স্কুলে চলে গেছে। কথা ছিল স্কুল থেকে ফিরে মা-বাবার সঙ্গে বসে দুপুরের খাবার খাবে।

পুরানগড় শাহ সরফুদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার দে বলেন, রবিউল হোসেন খুব শান্তশিষ্ট ছিল। সে নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসত। লেখাপড়াতেও ভালো ছিল।

পুরানগড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আ ফ ম মাহবুবুল হক সিকদার বলেন, এ ঘটনায় স্কুলছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে।

সাতকানিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিন মাসুদ বলেন, নিহত স্কুলছাত্রের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা প্রক্রিয়াধীন। অভিযুক্ত চালক ট্রলি নিয়ে পালিয়েছেন। তাঁকে ধরার চেষ্টা চলছে।