নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টায় লিপ্ত বিএনপি: তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মুগদাপাড়া এলাকায় প্রচার চালান। ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি। ছবি: প্রথম আলো
ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মুগদাপাড়া এলাকায় প্রচার চালান। ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি। ছবি: প্রথম আলো

নগর নিয়ে কোনো রূপরেখা ছাড়াই বিএনপি প্রার্থীরা নির্বাচনে নেমেছেন বলে মনে করছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, নগরবাসীকে নিয়ে তাঁদের কোনো পরিকল্পনা নেই। জাতীয় রাজনীতির কৌশল হিসেবে তাঁরা মাঠে নেমেছেন। নানাভাবে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত আছে বিএনপি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মুগদাপাড়া সিএনজি স্টেশন এলাকায় আয়োজিত পথসভায় এসব কথা বলেন শেখ ফজলে নূর। তিনি বলেন, দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনের কৌশল হিসেবে নির্বাচনকে বেছে নিয়েছে বিএনপি। নির্বাচনের প্রচারে নিজেরাই এটি বারবার বলছে। কিন্তু আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকাবাসী উন্নয়নের পক্ষে রায় দিয়ে তাদের সেবক নির্বাচিত করবে বলে আশা করছেন তিনি।

নিজের নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজ শেষের দিকে বলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জানান ঢাকা দক্ষিণে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী। তিনি বলেন, নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ইশতেহার তৈরির কাজ করছে। খুব শিগগির তা প্রকাশ করা হবে। যেসব প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে, তা অবশ্যই বাস্তবায়ন করা হবে বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

ঢাকা দক্ষিণের নতুন যুক্ত ওয়ার্ডগুলো নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা তৈরির কথা জানিয়ে শেখ ফজলে নূর বলেন, ১৮টি নতুন ওয়ার্ডে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। এই ১৮টি ওয়ার্ডকে আধুনিক ও উন্নত শহরে পরিণত করা হবে। নাগরিক হিসেবে তারা যেন সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পায়, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সিটি করপোরেশনের যে উন্নয়ন করা হবে, তার সুবিধা সবাই গ্রহণ করবেন। মেয়র নির্বাচিত হলে দল-মতনির্বিশেষে সবার জন্য কাজ করবেন বলেও জানান তাপস।

ঐতিহ্যের ঢাকা, সুন্দর ঢাকা, সচল ঢাকা, সুশাসিত ঢাকা ও উন্নত ঢাকা গড়ার ঘোষণা পুনর্ব্যক্ত করে শেখ ফজলে নূর বলেন, মেয়র নির্বাচিত হলে ২৪ ঘণ্টা নগরবাসীর সেবা নিশ্চিত করা হবে। সাধারণ মানুষের জন্য নগর ভবন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। ৯০ দিনের মধ্যে মৌলিক সেবাগুলো সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাব। ঢাকায় যতগুলো সেবা প্রতিষ্ঠান আছে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানকে একটি নীতিমালায় আসতে হবে।

বেলা একটার দিকে ১৪তম দিনের নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের হাজারো নেতা-কর্মী স্লোগান দিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘মুগদার মানুষের ঘরে ঘরে ভোট প্রার্থনা করতে চাই। আপনারা কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না। গণমাধ্যমকর্মীদের সুন্দর পরিবেশে কাজ করার সুযোগ করে দেবেন। বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হলে সুষ্ঠুভাবে কাজ করা যায় না।’ এরপর হেঁটে হেঁটে প্রচারপত্র বিলি শুরু করেন তিনি।