নামের মিলে কারাভোগ, অবশেষ মুক্তি

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার চা–দোকানি রফিকুল ইসলাম মুক্তি পেয়েছেন। নামের মিল থাকায় ভুল আসামি হিসেবে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। আজ বৃহস্পতিবার গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহারের আদালত তাঁকে মুক্তির আদেশ দেন। পরে সন্ধ্যা সাতটায় গাজীপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

রফিকুলের আইনজীবী ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, শ্রীপুর পৌরসভার মেয়রের প্রত্যয়নপত্র, এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রথম আলোর প্রতিবেদনের কপি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাগজপত্র আদালতে জমা দিয়েছিলেন। আদালত গতকাল বুধবার এ বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট থানার প্রতিবেদন চেয়েছিলেন। আজ সকাল ১০টার আগেই শ্রীপুর থানার পক্ষ থেকে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরে আদালত রফিকুলকে মুক্তির আদেশ দেন।

গতকাল বুধবার প্রথম আলোয় প্রথম পৃষ্ঠায় ‘আসামি করাতকলের মালিক, গ্রেপ্তার হলেন চা-দোকানি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর আজ বৃহস্পতিবার ‘এখনো ছাড়া পাননি রফিকুল, প্রতিবেদন চান আদালত’ শিরোনামে আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।


রফিকুল ইসলামের বড় ভাই নজরুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাতটা দিন বিনা অপরাধে আমার ভাই জেল খাটল। পুরো পরিবার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গেল। এর দায় কে নেবে?’

গাজীপুরের অতিরিক্ত ‍পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পরোয়ানায় নাম, বাবার নাম ও ঠিকানা লেখা থাকে। সে অনুযায়ী রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখানে উপস্থিত এলাকার লোকজন বা তাঁর আত্মীয়স্বজন, এমনকি রফিকুল নিজেও পরোয়ানার বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনা আপত্তি করেননি। এ জন্যই এমনটি হয়েছে। পরে ভুলের বিষয়টি জানা যায়।

১৭ জানুয়ারি গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকা থেকে রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। বন মামলার আসামি হিসেবে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রকৃত আসামির নাম ও বাবার নামে মিল থাকায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তবে দুজনের বাবার নাম মিল থাকলেও মায়ের নামে পার্থক্য রয়েছে।

শ্রীপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আক্তার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, আসামির পরিচয় হিসেবে তিনটি তথ্য মিল পাওয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। প্রকৃত আসামি রফিকুল ইসলাম দুই সপ্তাহের জামিনে আছেন। মেয়াদ শেষে পরোয়ানা পাওয়া সাপেক্ষে তাঁকে আইনের আওতায় আনা হবে।