ফেনীতে এক শ্রমিকের পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে দিলেন সহকর্মী

মো. মামুন। ফাইল ছবি
মো. মামুন। ফাইল ছবি

ফেনীতে একটি কারখানায় কম্প্রেশার যন্ত্র দিয়ে শ্রমিকের পায়ুপথে বাতাস ঢোকানোর ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ওই তরুণের নাম মো. মামুন (১৮)। তিনি নোয়াখালীর চরজব্বর থানার উত্তর বাগধারা গ্রামের বাসিন্দা ও স্টার লাইন ফুড প্রোডাক্ট কারখানার শ্রমিক।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত মামুনের সহকর্মী দেলোয়ার হোসেন (২২) নামের অপর এক শ্রমিককে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। তিনি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা।

আজ শনিবার বেলা একটার দিকে ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ কাশিমপুর এলাকায় অবস্থিত স্টার লাইন ফুড প্রোডাক্টস কারখানায় ঘটনাটি ঘটেছে।

পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকেরা জানান, আজ দুপুরে কারখানায় খাওয়ার বিরতির সময় কয়েকজন শ্রমিক কম্প্রেশার যন্ত্রের সাহায্যে কারখানার একটি কক্ষ পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার কাজ করছিলেন। এ সময় দেলোয়ার বাতাসের পাইপটি মামুনের পায়ুপথে চেপে ধরেন। এর ফলে মামুন তাৎক্ষণিক অসুস্থ হয়ে কারখানার মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে। অন্য শ্রমিকেরা তাঁকে সেখান থেকে প্রথমে কারখানার পাশে স্থানীয় একজন পল্লি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। তাঁর পরামর্শে মামুনকে ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

ফেনী ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আবু তাহের পাটোয়ারী জানান, পায়ুপথে বাতাস ঢোকানোর কারণে গুরুতর অসুস্থ মামুন নামের একজন শ্রমিককে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

স্টার লাইন ফুড প্রোডাক্টস কারখানার পরিচালক মাঈন উদ্দিন জানান, ঘটনাটি কারখানা কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। তিনি জানান, দুপুরের খাওয়ার বিরতির সময় কয়েকজন শ্রমিক বাতাসের সাহায্যে কারখানার বিভিন্ন কক্ষ পরিষ্কার করে থাকেন। এ সময় একটি অপ্রীতিকর ঘটনায় একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়েছেন। ঘটনায় জড়িত শ্রমিককেও পুলিশ আটক করেছে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দেলোয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, ঠাট্টা করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।

ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।