নৌকাটি বাংলাদেশের কাছে তুলে দিল মিয়ানমার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়া নৌকাটি ২০ মাঝিমাল্লাসহ মিয়ানমারের একটি চরে আটকে যায়। গতকাল শনিবার বিকেলে মিয়ানমারের নৌবাহিনী তাঁদের উদ্ধারের পর আজ রোববার বিকেল চারটায় বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে। কোস্টগার্ড বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ২১ জানুয়ারি থেকে নৌকাটির মাঝিমাল্লার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

নিখোঁজ নৌকা ও মাঝিমাল্লার খোঁজে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী বঙ্গোপসাগরে তল্লাশি অভিযান চালায়। তবে নৌকাটি ভাসতে ভাসতে মিয়ানমারের দিকে চলে গেলে গতকাল বিকেলে মিয়ানমারের নৌবাহিনী তাঁদের উদ্ধার করে। পরে আজ তাদের বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

সূত্র জানায়, ২০ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে এফবি বাকলিয়া ফিশিং-১ নামের মাছ ধরার নৌকা ১৬ জানুয়ারি কর্ণফুলী নদীর ফিশারীঘাট থেকে মাছ ধরার জন্য সাগরে যায়। ১৯ জানুয়ারি নৌকার মাঝি মোহাম্মদ বেলাল নৌকার মালিককে ফোনে জানান, সেন্ট মার্টিন দ্বীপের অদূরে গভীর সমুদ্রে ইঞ্জিন বিকল হয়ে গিয়ে তাঁরা সাগরে ভাসছের। এরপর ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় একইভাবে সাগরে ভাসার কথা জানান মাঝি। তবে তাঁরা সাগরের কোন জায়গায় আছেন, তা বুঝতে পারছেন না। এরপর থেকে মুঠোফোনে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে।

নিখোঁজ নৌকার সন্ধানের জন্য গত বুধবার আগ্রাবাদ সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরে লিখিতভাবে জানানো হয়। মাঝিমাল্লাসহ নিখোঁজ নৌকার খোঁজে সাগরে তল্লাশি অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী। পরে বিষয়টি দূতাবাসের মাধ্যমে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সেখানকার নৌবাহিনী তাঁদের উদ্ধার করে আজ বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করে।

আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মুঠোফোনে নৌকার মাঝি মোহাম্মদ বেলাল কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘বেঁচে ফিরে আসব, তা কল্পনাও করতে পারিনি। সরকারের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।’

বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশনস) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মিয়ানমারের নৌবাহিনী দূতাবাসের মাধ্যমে আজ আমাদের কাছে নিখোঁজ নৌকা ও মাঝিমাল্লাকে তুলে দেয়।’