মাশরুমের কনটেইনারে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার সিগারেট

জব্দ হওয়া মালামালের সঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) বিভাগের কর্মকর্তারা। ছবি: সংগৃহীত
জব্দ হওয়া মালামালের সঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) বিভাগের কর্মকর্তারা। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দরে সন্দেহজনক একটি কনটেইনার খুলে ১ কোটি ৪০ লাখ ২০ হাজার শলাকা সিগারেট জব্দ করেছেন কাস্টমস গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। আজ রোববার বিকেলে বন্দর থেকে আমদানিকারক কৌশলে চালানটি খালাস নেওয়ার তৎপরতা শুরুর খবর পেয়ে তা জব্দ করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।

এই চালানটি মালয়েশিয়া থেকে মাশরুম ঘোষণা দিয়ে আমদানি করেছিল চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের বাংলা ভিনা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। সন্দেহজনক চালানটি খালাস স্থগিতও করে রেখেছিলেন কাস্টমসের এআইআর শাখার গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এরপরও কাস্টমস দিবস উপলক্ষে কর্মকর্তাদের ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে চালানটি খালাসের তৎপরতা শুরু করেছিলেন আমদানিকারকের লোকজন।

চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) বিভাগের সহকারী কমিশনার নুর এ হাসনা সানজিদা প্রথম আলোকে বলেন, চালানটিতে থাকা সিগারেটের মূল্য ৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা। শর্তসাপেক্ষে এই চালান খালাস করতে হলে শুল্ককর দিতে হতো ২১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির কারণে আমদানিকারকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

কাস্টমসের নথিপত্রে দেখা যায়, চালানটির রপ্তানিকারক মালয়েশিয়ার নিউ সাইন করপোরেশন। তবে চালানটি আনা হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। এই চালানের জন্য ঋণপত্র খোলা হয়েছিল ৭ হাজার ৩৩৫ মার্কিন ডলারের। চালানটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসার পর গত ৫ জানুয়ারি খালাসের প্রক্রিয়া শুরু করেন আমদানিকারক। শুল্কায়নের পর আমদানিকারকের প্রতিনিধি ৫ লাখ ৮০ হাজার টাকার শুল্ক পরিশোধ করেন। তবে সন্দেহজনক হওয়ায় চালানটির খালাস স্থগিত করে দেওয়া হয় বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন সহকারী কমিশনার নুর এ হাসনা সানজিদা।

এ বিষয়ে আমদানিকারকের প্রতিনিধি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খায়ের ব্রাদার্সের কর্ণধার এস এম এ খায়েরর মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি ফোন না ধরায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।

এদিকে আরেকটি চালানে মিথ্যা ঘোষণার প্রমাণ পেয়েছে কাস্টমস। সুইট কর্ণের ঘোষণায় প্রায় ১৫ টন চকলেট নিয়ে আসে ঢাকার মতিঝিলের সামিত ট্রেডিং ইন্টারন্যাশনাল।