ইশরাকের প্রচারে সংঘর্ষ, মামলা করল আ.লীগ

দক্ষিণে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচারের সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  এ সময় একজনকে এলোপাতাড়ি পেটাতে দেখা যাচ্ছে। গতকাল দুপুরে গোপীবাগের আর কে মিশন রোডে।  ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচারের সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় একজনকে এলোপাতাড়ি পেটাতে দেখা যাচ্ছে। গতকাল দুপুরে গোপীবাগের আর কে মিশন রোডে। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার টিকাটুলিতে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচারে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা মাকসুদ আহমেদ গতকাল রোববার রাতে ওয়ারী থানায় মামলাটি করেন।

ওয়ারী জোনের পুলিশের সহকারী কমিশনার হান্নানুল ইসলাম জানান, মামলায় বিএনপির ৫০ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

গতকাল দুপুরে টিকাটুলি এলাকায় বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন আওয়ামী লীগ-সমর্থিত এক কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীরা। সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ দুই পক্ষের অন্তত ২৬ জন আহত হয়েছেন। ভোটের মাত্র পাঁচ দিন আগে নির্বাচনী সহিংসতার এই ঘটনা ঘটল।

সংঘর্ষ শুরুর পরই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনকে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেন কর্মীরা। এর আগে ২১ জানুয়ারি গাবতলীতে ঢাকা উত্তরের বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা হয়েছিল। হামলায় তাবিথ আহত হন। আর গতকালের সংঘর্ষে ইশরাক পায়ে আঘাত পেয়েছেন।

গোপীবাগের বাসায় সংবাদ সম্মেলনে ইশরাক হোসেন অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচন বানচাল করার জন্য বিনা উসকানিতে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকন উদ্দিন আহমেদের অনুসারীরা এই হামলা চালিয়েছেন। তাঁরা গুলিও ছুড়েছেন।

অবশ্য রোকন উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ক্যাম্পের সামনে দিয়ে বিএনপির মিছিল যাওয়ার সময় ‘নৌকা ডোবা’সহ উসকানিমূলক স্লোগান দিয়ে তারাই হামলা চালিয়েছে।

সংঘর্ষে ২৬ জন আহত হন। আহত সাংবাদিকেরা হলেন, নয়া দিগন্ত পত্রিকার রিপোর্টার ইকবাল মজুমদার, সময় টেলিভিশনের ভিডিও সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম, বাংলাভিশন টিভির ক্যামেরা পারসন উজ্জ্বল দাস। আর বিএনপির অন্তত ১২ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে গেন্ডারিয়া থানা ছাত্রদলের সভাপতি জাবেদ হোসেন, ওয়ারী থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মোহাম্মদ বিল্লাল, সূত্রাপুর থানা ছাত্রদল নেতা সৈকত হাসান অন্যতম।

এ ছাড়া আহত লোকজনের মধ্যে রয়েছেন ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর রহমান, থানা কমিটির সদস্য মোবারক হোসেন ও মনির হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক আমির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুছ, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মো. রমজানসহ ১১ জন।