মুঠোফোনে সহযোগীদের ডেকে এনে কিশোরীকে ধর্ষণ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খালার সঙ্গে অভিমান করে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছিল কিশোরীটি। কিন্তু বাসে ওঠার পর বুঝতে পারে, ভুল বাসে উঠে পড়েছে সে। মাঝপথে নেমে পড়ে কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাসস্ট্যান্ডে। মেয়েটিকে নামতে দেখে বাস থেকে নেমে পড়ে এক যাত্রীও। মেয়েটি রাস্তা চিনতে পারছে না বুঝতে পেরে মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে চার সহযোগীকে ডেকে আনে ওই ব্যক্তি। পরে ওই কিশোরীকে গণধর্ষণ করা হয়।

১৬ জানুয়ারি ভৈরবে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন মেয়েটির খালা ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলা করার ১১ দিন পর এক ধর্ষণকারীকে (১৭) গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। র‍্যাবের কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ওই আসামি। আজ সোমবার দুপুরে র‌্যাব-১৪–এর ভৈরব ক্যাম্পে এক সংবাদ ব্রিফিং করে এসব তথ্য জানায় র‍্যাব।

ব্রিফিংয়ে র‌্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের বলেন, মেয়েটির বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায়। কয়েক বছর ধরে টঙ্গীতে খালার বাসায় থাকত সে। খালার সঙ্গে অভিমান করে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য ১৬ জানুয়ারি ভৈরবের বাসে ওঠে। ভুল বাসে উঠে পড়েছে বুঝতে পেরে রাত নয়টার দিকে ভৈরব বাসস্ট্যান্ডে নেমে পড়ে সে। মেয়েটিকে অনুসরণ করে বাস থেকে নেমে পড়ে এক ধর্ষকও। এ সময় মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়ে চার সহযোগীকে ডেকে নেয় সে। পরে মেয়েটিকে শহরের জগন্নাথপুর এলাকার রেললাইন লাগোয়া একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। মেয়েটিকে রেলস্টেশন এলাকায় রেখে পালিয়ে যায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, রেলওয়ে পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।