টিকাটুলীতে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৫ কর্মী রিমান্ডে

ইশরাকের মিছিলে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত
ইশরাকের মিছিলে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর টিকাটুলীতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচারের সময় সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার বিএনপির পাঁচ কর্মীকে এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এ আদেশ দেন।

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া পাঁচজন হলেন জামিল আহম্মেদ তুহিন (২২), বিল্লাল হোসেন (৩৭), সোহেল (৪০), মো. ফারুক (২৭) ও আকরাম হোসেন (৩০)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওয়ারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জুলফিকার আলী প্রথম আলোকে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচজন আসামি বিএনপির কর্মী। আদালত প্রত্যেক আসামির এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ওয়ারী থানা-পুলিশ পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আসামিদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রোববার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচারের সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মাকসুদ আহমেদ নামের একজন বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় মামলা করেন। মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত এক শ থেকে দেড় শ জনকে আসামি করা হয়। মামলার আসামিরা বিএনপির নেতা-কর্মী।

মামলায় মাকসুদ আহমেদ দাবি করেন, তিনি ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব। আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী রোকন উদ্দিন আহমেদ ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর লাভলী চৌধুরীসহ ৭০ থেকে ৮০ জন নেতা-কর্মী ও সমর্থক নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ করেন। গণসংযোগ শেষে ওয়ারী থানার আর কে মিশন রোডে অস্থায়ী নির্বাচন ক্যাম্পে আসেন। এ সময় শাহ আল ওরফে পাভেল সিকদারের নেতৃত্বে মামলার আসামিরা তাঁদের কার্যালয়ের দিকে আসতে থাকেন। তখন তাঁরা কটাক্ষ করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এ ধরনের স্লোগান না দেওয়ার জন্য তাঁদের নেতা-কর্মীরা অনুরোধ করেন। কিন্তু স্লোগান বন্ধ না করে তাঁরা উল্টো তাঁদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা তাঁদের নির্বাচনী কার্যালয়ে ঢুকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেন। তাঁদের কর্মী ইয়াসির আরাফাত গুলিবিদ্ধ হন।

এ ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে যাচ্ছিলাম। আওয়ামী লীগ-সমর্থিত স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর এখানে কার্যালয় রয়েছে। সেখান থেকে হামলা করা হয়েছে। আমি আমার কর্মীদের শান্ত থাকতে বলেছি। ১ ফেব্রুয়ারি ভোটের মাধ্যমে আমরা এর জবাব দেব।’ পরে তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এ হামলার উদ্দেশ্য বিএনপিকে মাঠছাড়া করা, নির্বাচন বানচাল করা।’

আরও পড়ুন...