নৌকার কোনো ব্যাকগিয়ার নেই: আতিকুল

জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম। ছবি: প্রথম আলো
জাতীয় প্রেসক্লাবে আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম। ছবি: প্রথম আলো

নৌকার কোনো ব্যাকগিয়ার নেই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘নৌকার গিয়ার একটিই। সেটি হচ্ছে উন্নয়নের গিয়ার। নৌকা দিয়েছে স্বাধীনতা, নৌকা দেবে উন্নয়ন, নৌকা দেবে একটি সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা। নৌকা এগিয়ে যাবে।’

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আতিকুল ইসলাম এসব কথা বলেন। সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে ঢাকার দুই সিটির বিএনপি ও আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছে জাতীয় প্রেসক্লাব। গতকাল সোমবার এসেছিলেন দক্ষিণে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেন। আগামীকাল প্রেসক্লাবে আসবেন দক্ষিণে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। আগামী বৃহস্পতিবার আসার কথা রয়েছে উত্তরে বিএনপি মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের স্লোগান ছিল আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। সেই প্ল্যাটফর্ম জাতীয় প্রেসক্লাব তৈরি করে গেছে। আমার যারা প্রতিদ্বন্দ্বী আছেন তাঁরাও প্রেসক্লাবে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। আমরা মনে করি, সুন্দর পরিবেশে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে।’

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘একটি অপরিকল্পিত শহর এই ঢাকা। বিদেশে দেখেছি, একটা প্ল্যান করে তারপর নগরায়ণ করা হয়। আমাদের এখানে বাস্তবে এটা হয়নি। এটা একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ। আমার সামনে চ্যালেঞ্জ অনেকগুলো। অপরিকল্পিত শহরে যেমন আছে যানজট, জলজট, তেমন আছে মশার উপদ্রব, বায়ুদূষণ। অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে। শুরু কিন্তু করতেই হবে। শুরু করতে পারলে শেষ হবেই।’

মতবিনিময় সভায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, ‘আমরা মনে করি জাতীয় প্রেসক্লাবের ঐতিহাসিক ভূমিকা আছে এ দেশের মুক্তিযুদ্ধে, গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও অসাম্প্রদায়িক আন্দোলনে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের প্রেসক্লাব। আমরা একটা নিরাপদ, সবুজ ও স্বচ্ছন্দে চলার মতো ঢাকা চাই।’

সিটি করপোরেশনে হোল্ডিং ট্যাক্স সেবায় অটোমেশন চালু করা হবে বলে জানান আতিকুল ইসলাম। তিনি মনে করেন, অনলাইনে ট্যাক্স দিলে ফেস টু ফেস কন্টাক্ট কমবে। আর ফেস টু ফেস কন্টাক্ট কমাতে পারলে দুর্নীতি কমবে। কাজের গতি বাড়বে, রাজস্ব আদায় হবে বেশি, হয়রানিও বন্ধ হবে। তিনি বলেন, ‘আকাশেতে যত তারা, সিটি করপোরেশনে তত ধারা—এ ধরনের জুজুর ভয়ে সিটি করপোরেশনে লোকজন যায় না। কনটাক্টের মাধ্যমে ট্যাক্স দিতে চায়। এটি বন্ধ করা হবে।’

মশকনিধন প্রসঙ্গে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে কীটতত্ত্ব বিভাগ বলে কিছুই ছিল না, যারা মশা নিয়ে কাজ করবে। প্রজনন ক্ষেত্র কোথায়, নিয়ন্ত্রণ কীভাবে হবে, সে ধরনের কোনো বিভাগ সিটি করপোরেশনে ছিল না। গত ৯ মাসে বের করেছি এই বিভাগ লাগবে। এ ছাড়া মশক নিধন সম্ভব না। মশার কর্মীরা ওষুধ মেরে যাচ্ছে, কিন্তু তাদের কাজের কোয়ালিটি চেক করার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এটা করার জন্য সিস্টেম তৈরির কাজ করছি।’

মতবিনিময় সভা সঞ্চালনা করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শ্যামল দত্ত। আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. শফিকুর রহমান প্রমুখ।