একসঙ্গে তাপস-খোকন 'দুই ভাই'

সদরঘাটে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের সঙ্গে দেখা করেন এ সিটির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। ছবি: সাইফুল ইসলাম
সদরঘাটে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকনের সঙ্গে দেখা করেন এ সিটির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। ছবি: সাইফুল ইসলাম

নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে দেখা হলো বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকনের। শেখ ফজলে নূর বললেন, ‘আমরা দুই ভাই। আমরা সব সময় একসঙ্গে আছি এবং থাকব। তিনি আচরণবিধির কারণে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন না।’ আর সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমরা দুই ভাই এখানে উপস্থিত হয়েছি। তাপস জয়যুক্ত হলে ইতিবাচক পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত থাকবে।’

ডিএসসিসির মেয়র পদে দুজনেই নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন চেয়েছিলেন এবার। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার পর দুজনকে একসঙ্গে দেখা যায়নি। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সদরঘাটে ডিএসসিসির জলবায়ু উদ্বাস্তু আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনে যান বর্তমান মেয়র। আর নির্বাচনী জনসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সেখানে উপস্থিত হন ঢাকা দক্ষিণে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী।

শেখ ফজলে নূর সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাঈদ খোকন আমাদের প্রয়াত নেতা, মেয়র হানিফের সুযোগ্য সন্তান। আজ এখানে এসেছি তাঁর সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে। আমার ভাই এরই মধ্যে যেসব কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন, আমি নির্বাচিত হলে সেগুলো সামনের দিকে এগিয়ে নেব। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সেগুলো বাস্তবায়ন করব।’

এ সময় সাঈদ খোকন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ–মনোনীত মেয়র প্রার্থী শেখ ফজলে নূরকে আমি নৌকা মার্কায় ভোট দেব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদি নির্বাচনী আচরণবিধির বাধ্যবাধকতা না থাকত, তাহলে আমি আমার ঢাকাবাসীকে আহ্বান জানাতাম—তাপসকে নৌকা মার্কায় ভোট দিন। তাঁর পক্ষেই সম্ভব এই শহরের অগ্রগতি অব্যাহত রাখা।’

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় রাজারবাগ এলাকায় ১৯তম দিনের নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন শেখ ফজলে নূর। তিনি বলেন, ‘শঙ্কিত হয়ে বিএনপি সন্ত্রাসের আশ্রয় নিচ্ছে। আমরা এর নিন্দা জানাই। আমরা ধৈর্য ও সহনশীলতার সঙ্গে এগোচ্ছি।’ সুষ্ঠু পরিবেশে সবাই যাতে ভোট দিতে পারেন, তার ব্যবস্থা করতে নির্বাচন কমিশন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহবান জানান তিনি।

প্রচারের শুরুতেই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের স্থানীয় শত শত নেতা-কর্মী ভিড় করেন। তাঁরা নৌকা প্রতীকের পক্ষে স্লোগান দেন। এখান থেকে শহীদবাগের কয়েকটি গলিতে হেঁটে হেঁটে নিজের প্রচারপত্র বিলি করেন তাপস। একপর্যায়ে তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বাসার ভেতরে প্রবেশ করে প্রচারপত্র বিলি করেন। যদিও সেখানে মির্জা আব্বাস বা তাঁর পরিবারের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।

নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তাপস বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার মতো কিছু করবেন না। বিরোধী পক্ষ নিজ থেকে পরিবেশ নষ্টের পাঁয়তারা করছে। একজন মেয়র প্রার্থী কীভাবে একজন কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রচার কার্যালয়ে হামলা চালায়, এতে খুব অবাক হয়েছি।’ ভোটারদের উদ্দেশে পাঁচ দফায় উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘চমকপ্রদ কিছু বলছি না। স্থানীয় সরকার আইনে দেওয়া ক্ষমতা বুঝেই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’ আগামী কাল পাঁচ দফার বিস্তারিত নিয়ে নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।