গোপীবাগের সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার এক

রাজধানীর গোপীবাগে সংঘর্ষের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ। ছবি: ডিএমপি নিউজের সৌজন্যে
রাজধানীর গোপীবাগে সংঘর্ষের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ। ছবি: ডিএমপি নিউজের সৌজন্যে

গোপীবাগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় গুলিবর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ এ তথ্য জানায়।

গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম আরিফুল ইসলাম (৪৭)। ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি-পূর্ব) একটি দল গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে তাঁকে একটি পয়েন্ট ২২ বোরের বিদেশি পিস্তল ও ৫০টি গুলিসহ গ্রেপ্তার করে।

ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, ২৬ জানুয়ারি গোপীবাগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী প্রচারের সময় সংঘর্ষ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ওয়ারী থানায় একটি মামলা হয়। থানা-পুলিশের পাশাপাশি ডিবি মামলাটির ছায়া তদন্ত করছিল। স্থানীয় সিসিটিভি ফুটেজ, বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচারিত ছবি-ফুটেজ পর্যালোচনায় গুলিবর্ষণকারীকে শনাক্ত করা হয়। আরিফুলের মুখমণ্ডল, জামা-কাপড়, জুতা, হেলমেট ইত্যাদি পুলিশ পর্যবেক্ষণ করেছে। গুলিবর্ষণের কিছুক্ষণ আগে ধারণকৃত স্থিরচিত্রও ছিল। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে তাঁকে আসামি হিসেবে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আরিফুল প্রাথমিকভাবে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আবদুল বাতেন বলেন, ‘টেকনোলজি ব্যবহার করে আমরা নিশ্চিত হয়েছি তিনিই সেই ব্যক্তি। এ ছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত গুলির খোসার সঙ্গে জব্দকৃত গুলির মিল আছে।’

ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদপ্রার্থী ইশরাক হোসেন এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, গত রাতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আরিফুল ইসলামকে তাঁর (ইশরাক হোসেন) ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তাঁর কোনো ব্যক্তিগত সহকারী বা একান্ত সচিব নেই। তবে আরিফুল বিএনপির একজন একজন সমর্থক। তিনি নির্বাচনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নিজ থেকে অংশ নিচ্ছিলেন।

গোপীবাগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বিরোধের জেরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ওয়ারী থানায় মামলাটি করেছিলেন। ওই মামলায় ২০০ জনকে আসামি করা হয় বলে ওয়ারী থানা সূত্র জানায়।