আ.লীগের অভিযোগের সপক্ষে কোনো তথ্য নেই সিইসির কাছে
আজ বৃহস্পতিবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে যে সমাবেশগুলো করেছে, তার আগে অনুমতি নেয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের অনুমতি নেওয়া উচিত ছিল।
আজ বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এসব কথা জানান। নির্বাচন উপলক্ষে বিএনপি ঢাকায় সন্ত্রাসীদের জড়ো করছে, আওয়ামী লীগের এই অভিযোগের বিষয়ে সিইসি বলেন, এমন কোনো তথ্য জানা নেই।
নূরুল হুদা দাবি করেন, নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু আছে।
সিটি নির্বাচনের শেষ দিনের প্রচার চলার মধ্যে আওয়ামী লীগ মুজিব বর্ষের প্রস্তুতি উপলক্ষে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে মিছিল সমাবেশ করেছে। এ প্রসঙ্গে সিইসি বলেছেন, সমাবেশ করার আগে নির্বাচন কমিশনকে জানানো উচিত ছিল এবং অনুমতি নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘শুনেছি, মুজিব বর্ষের প্রস্তুতি নিয়ে সভা হচ্ছে। এটা বলেনি। এ সভায় যদি নির্বাচন নিয়ে কিছু না বলে থাকে তা বিধিতে আলাদাভাবে কিছু বলা নেই। তবে আমি মনে করি, নির্বাচনকে সামনে রেখে এ সভা না করা উচিত ছিল। দরকার হলে আমাদের অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল।’
নির্বাচন সামনে রেখে বহিরাগতদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘কারও কোনো বাসা–বাড়িতে তল্লাশি করা, রেইড করা, এগুলো হচ্ছে না। হোটেলে, হোস্টেলে বা অন্যান্য জায়গায় যদি বাইরে থেকে কেউ এসে থাকে, সেটার ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলায় যারা নিয়োজিত, তাদের বলেছি, যাদের প্রয়োজন নেই, তারা যেন ঢাকায় না আসে। ভোটকেন্দ্রে চারপাশে যেন অকারণে জটলা না হয়, সে ব্যাপারে তাদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাইরে থেকে ঢাকায় আসার ব্যাপারে তো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যায় না। যাদের প্রয়োজন নেই, মনে করবে তারা যেন এখানে না আসে, সেটাকে আমরা নিরুৎসাহী করেছি। তা নিয়ে পুলিশি অভিযান চালাতে বলিনি।’
কূটনীতিকেরা নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে দেখা করেছে, তারা ‘মাতবরি’ করছে—এমন মনে হয়েছে কি না, তা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘তারা আমাদের অবস্থান জানতে চেয়েছে, তাদের বুঝিয়েছি। তারা সন্তুষ্ট হয়ে এখান থেকে গিয়েছে।’
নির্বাচনকে কেন্দ্র তরে সন্ত্রাসীরা ঢাকায় জড়ো হচ্ছে—আওয়ামী লীগের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘এমন কেউ প্রবেশ করেছে, আমাদের জানা নেই, এমন তথ্যও নেই। তারা আশঙ্কা করতে পারে। সেটা আমরা বলেছি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেখতে।’