করোনাভাইরাস:খুলনার হাসপাতালগুলোতে আলাদা ইউনিট

খুলনায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও সংক্রমণ রোধে বিভিন্ন প্রস্তুতি নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঁচ শয্যার একটি করে ‘আইসোলেশন ইউনিট’ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া খুলনা জেনারেল (সদর) হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতালে প্রস্তুত রাখা হয়েছে একটি করে ইউনিট।

চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, খুলনা জেলার সরকারি বা বেসরকারি কোনো হাসপাতালেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। উপসর্গ দেখে রোগী শনাক্ত করতে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠাতে হবে। শুধু ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) ও কুর্মিটোলায় অবস্থিত সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতালে ওই ভাইরাস পরীক্ষা করার ব্যবস্থা রয়েছে। শুধু উপসর্গ থেকেই চিকিৎসা করতে গেলে চিকিৎসকদের রোগীর কাছে যেতে হবে। কিন্তু রোগীর কাছে যাওয়ার জন্য যে ধরনের পোশাক (গাউন) প্রয়োজন, তাও হাসপাতালগুলোতে নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২৬ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআর থেকে চিঠি পাঠিয়ে মেডিকেল কলেজ, জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোতে করোনাভাইরাস সম্পর্কিত সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে হাসপাতালগুলোতে অন্তত পাঁচটি শয্যাসংবলিত ‘আইসোলেশন ইউনিট’ নির্দিষ্টকরণের জন্য বলা হয়। ওই ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ হিসেবে প্রতিটি হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিত করা ও ভাইরাস সংক্রমিত রোগীর জন্য সার্বক্ষণিক অক্সিজেন প্রস্তুত করে রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে খুলনার সিভিল সার্জন সুজাত আহমেদ বলেন, নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই সব হাসপাতালে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর করণীয় সম্পর্কে চিকিৎসকদেরও বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের উপসর্গ আছে এমন কোনো রোগী পাওয়া গেলে তাঁকে আগে সম্পূর্ণ আলাদা করে রাখা ও প্রয়োজনে খুলনায় চিকিৎসার জন্য পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সুজাত আহমেদ আরও বলেন, খুলনায় বেশ কয়েকজন চীনা নাগরিক আছেন। তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া নতুন কোনো চীনা নাগরিক খুলনায় এলে তাঁর সম্পর্কে আগে থেকে প্রশাসনকে জানানোর অনুরোধ করা হয়েছে।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিকিৎসকদের জন্য বিশেষ পোশাক চাওয়া হয়েছে। রোগীর উপসর্গ থেকে অনুমান করে রক্তের নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে ওই রোগ শনাক্ত করা সম্ভব।