এক টাকায় সুস্বাদু শিঙাড়া

শিঙাড়াসহ তেলে ভাজা নানা ধরনের খাবার নিয়ে বসে আছেন দোকানি। সম্প্রতি মাগুরা সদরের গাংনালিয়া বাজারে।  ছবি: প্রথম আলো
শিঙাড়াসহ তেলে ভাজা নানা ধরনের খাবার নিয়ে বসে আছেন দোকানি। সম্প্রতি মাগুরা সদরের গাংনালিয়া বাজারে। ছবি: প্রথম আলো

কাজের প্রয়োজনে মাগুরা সদর থেকে প্রায়ই শ্রীপুর যেতে হয় ফয়সাল পারভেজের। মাঝপথে গাংনালিয়া বাজারে প্রতিবারই থামেন তিনি। মাগুরা সদর ও শ্রীপুর উপজেলার মধ্যবর্তী এই বাজারে পাওয়া যায় এক টাকার শিঙাড়া। দামে সাশ্রয়ী ও সুস্বাদু এই শিঙাড়া খেতে তাই ফয়সাল পারভেজের মতো অনেকেই আসেন এই বাজারে।

গাংনালিয়া বাজারে রাস্তার পাশে দুটি অস্থায়ী দোকান। সেখানে সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিন দুজন ব্যবসায়ী বসেন তেলে ভাজা বিভিন্ন খাবার নিয়ে। এর মধ্যে রয়েছে শিঙাড়া, আলুর চপ, পেঁয়াজু, ছোলাভুনা প্রভৃতি। তবে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় এক টাকার শিঙাড়া। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখানে এক টাকায় আলুর চপও পাওয়া যায়। এ ছাড়া আকারে একটু বড় শিঙাড়া বিক্রি হয় দুই টাকা করে।

দোকানদারদের একজন অসিত কুমার সাহা। তিনি প্রায় ২৫ বছর এই বাজারে শিঙাড়াসহ তেলে ভাজা পণ্য বিক্রি করছেন। অসিত কুমার সাহা বলেন, ‘শুরুর দিকে একটি শিঙাড়া বিক্রি হতো ২৫ পয়সায়। ধাপে ধাপে সেটি বেড়েছে। সাত-আট বছর ধরে বিক্রি হচ্ছে এক টাকা করে। দামে সাশ্রয়ী ও সুস্বাদু হওয়ায় মানুষের কাছে এই শিঙাড়ার ব্যাপক চাহিদা। লাভ সীমিত হলেও বেশি বিক্রি হয় বলে আমাদের পুষিয়ে যায়।’

অসিত কুমার সাহার দোকানে কাজ করেন তাঁর ছেলে অভি কুমার সাহা। অভি জানান, প্রতিদিন গড়ে ৭০০ শিঙাড়া বিক্রি হয়। এর পাশাপাশি আলুর চপ, ছোলাভুনা ও পেঁয়াজুও বিক্রি হয়। ক্রেতাদের বেশি চাপ থাকে হাটের দুই দিনে।

বন্ধুদের নিয়ে ছোলাভুনা, চপ ও শিঙাড়া খাচ্ছিলেন শ্রীপুর কলেজের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা। সময়-সুযোগ পেলেই তাঁরা গাংনালিয়া বাজারে আসেন। মাসুদ রানা বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় পাঁচ টাকা করে শিঙাড়া বিক্রি হয়। এখানকার শিঙাড়ার দাম এক টাকা, কিন্তু এই শিঙাড়ার স্বাদ একেবারেই আলাদা।’