নলকূপে পানি পান করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীটি

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বান্দরবানের লামা উপজেলায় গতকাল শুক্রবার রাতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন শিমু বড়ুয়া (৩০) নামের একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লামার একটি হোস্টেল প্রাঙ্গণে বনভোজনে যান লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। হোস্টেল প্রাঙ্গণের খেলার মাঠে বনভোজনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। গতকাল রাত আটটার দিকে হোস্টেলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী নলকূপে পানি পান করতে যায়। সেখানে সে ধর্ষণের শিকার হয়।

হোস্টেলের ছাত্রীদের তত্ত্বাবধায়ক জানিয়েছেন, ছাত্রীর চিৎকারে লোকজন এগিয়ে গেলে এক ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা করেন। তাঁকে ধরে ফেলেন সবাই। জানা যায়, তাঁর নাম শিমু বড়ুয়া। তিনি বনভোজনের অনুষ্ঠানে সাউন্ড সিস্টেমের কর্মী হিসেবে এসেছিলেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও লামা পৌরসভার মেয়র জহির উদ্দিন বলেন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে অপ্রীতিকর এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি জানার সঙ্গে সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ করে আটক ব্যক্তিকে পুলিশে তুলে দেওয়া হয়।

মামলাটি তদন্ত করছেন কক্সবাজারের চকরিয়ার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মাসুদ। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলটি আসলে চকরিয়ায়। এটা বান্দরবানের লামার কাছাকাছি। এ জন্য পুলিশ শিমু বড়ুয়াকে আটক করে চকরিয়া থানায় হস্তান্তর করেছে। তাঁর বাড়ি লামা পৌরসভার চেয়ারম্যানপাড়ায়। হোস্টেলের ব্যবস্থাপক এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় মামলা করেছেন।

এই ছাত্রীকে প্রথমে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। গ্রেপ্তার শিমু বড়ুয়াকে আজ শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।