রাস্তা ফাঁকা পেয়ে ব্যাট-বলে মেতেছে কিশোরেরা

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ফলে রাজধানী ঢাকার বেশির ভাগ রাস্তা ফাঁকা। এই সুযোগে কিশোরেরা ব্যাটবল হাতে নেমে পড়েছে। গোলাপবাগ, বিশ্বরোড, ঢাকা, ১ ফেব্রুয়ারি। ছবি: নাজমুস সাকিব
ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ফলে রাজধানী ঢাকার বেশির ভাগ রাস্তা ফাঁকা। এই সুযোগে কিশোরেরা ব্যাটবল হাতে নেমে পড়েছে। গোলাপবাগ, বিশ্বরোড, ঢাকা, ১ ফেব্রুয়ারি। ছবি: নাজমুস সাকিব

স্কুল ছুটি। রাস্তা ফাঁকা। ব্যাট ও বল নিয়ে কৈশোরের দুরন্তপনা উদযাপনের যেন এখনই সময়। তাইতো রাস্তার মধ্যেই সীমানা নির্ধারণ করে নেমে পড়েছে একদল কিশোর। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে চলছে খেলা। হাঁকাচ্ছে ছক্কা, দিচ্ছে হাততালিতে।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ফলে রাজধানী ঢাকার বেশির ভাগ রাস্তা ফাঁকা। এই সুযোগে কিশোরেরা ব্যাট বল হাতে নেমে পড়েছে।

রাজধানী ঢাকার মানিকনগর, যাত্রাবাড়ী, জুরাইন, ধলপুর ও গোপীবাগসহ বেশ কিছু এলাকায় রাস্তায় কিশোরদের খেলতে দেখা গেছে।

মানিক মিয়া বিশ্বরোডে কয়েকটি দলকে খেলতে দেখা যায়। সবার বয়স ১২ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। আরকে স্কুল এন্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মাহফুজুল ইসলাম জানায়, খেলার জায়গা নেই। তাই বাসার গলির সামনে মাঝেমধ্যে খেলি। তবে আজ প্রধান সড়ক ফাঁকা, তাই বন্ধুদের নিয়ে এই সড়কে নেমে পড়েছে তারা।

যাত্রাবাড়ী শহীদ ফারুক সড়কে খেলতে নেমেছে রাকান আহমেদ ও তার বন্ধুরা। নয়জনের দলটির সবাই যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। রাকান আহমেদ বলে, ক্লাস ও পড়ার চাপের কারণে খেলার সময় পাই না। আজ সে চাপ নেই। রাস্তা ফাঁকা, তাই বন্ধুরা মিলে নেমে পড়লাম।

ধলপুর প্রধান ব্যস্ত সড়কে খেলায় মেতে আছে এসব কিশোর। তামিম স্টাইলে ব্যাটিং করছেন ধলপুর ইউসেপ সিটি পল্লী সিটি করপোরেশন স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সিফাত ইসলাম। কথা হয় তার সাথে। জানায়, ‘ভোটের জন্য স্কুল বন্ধ। রাস্তায় নাই বাস! এর চেয়ে খেলার ভালো জায়গা কোথায়। তাই বন্ধুরাসহ নেমে পড়লাম সড়কে।’

ধলপুরের স্থানীয় বাসিন্দা মমতাজ উদ্দিন তাদের খেলা দাঁড়িয়ে দেখছিলেন । তিনি বলেন, পাশেই গোলাপবাগ মাঠ। গত ১০ বছর ধরে প্রায় মাঠটি অবরুদ্ধ। এখনো সংস্কার কাজ চলছে। জানি না এলাকার কিশোরেরা আবার কবে যে মাঠে খেলতে পারবে।

তাঁর সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই এলাকার আরেক বাসিন্দা শামসুন নাহার বলেন, আমার বড় ছেলে এই মাঠে খেলেছে। কিন্তু ছোট ছেলেটা এখন আর খেলতে পারে না। খেলবো কেমনে, মাঠ কই।

তবে নির্বাচনে যেই জিতুক। এসব কিশোরদের প্রত্যাশা একটি সুন্দর খেলার মাঠ চান তাঁরা। শুধু এমন উপলক্ষেই নয়, বিকেল হলেই যেন একটু ঢুঁ মারতে পারেন তাঁরা।