গুলশান পার্কে 'চলন্ত রাস্তার' পাইলটিং বাস্তবায়ন কেন নয়

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুসারে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে গুলশান পার্কে ‘চলন্ত রাস্তার’ পাইলটিং বাস্তবায়নে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।

স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

‘চলন্ত রাস্তার সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে গতি নেই’ শিরোনামে গত ৬ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা সত্ত্বেও চলচ্চিত্র নির্মাতা আবু সাইয়ীদ উদ্ভাবিত ‘চলন্ত রাস্তা’র সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে গড়িমসির অভিযোগ উঠেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিরুদ্ধে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনার প্রায় সাড়ে চার মাস কেটে গেলেও এখনো পাইলটিং কাজের ব্যবস্থা করতে পারেনি উত্তর সিটি করপোরেশন।

এটিসহ এ বিষয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আইনুন্নাহার সিদ্দিকা ও আবেদা গুলরুখ ২৯ জানুয়ারি রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী হাসনাত কাইয়ূম।

পরে হাসনাত কাইয়ূম প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে আবু সাইয়ীদ কর্তৃক উদ্ভাবিত পদ্ধতি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গত বছরের ১৮ আগস্ট এ বিষয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়। কার্যালয়ের গর্ভনেন্স ইনোভেশন ইউনিটের পরিচালক (গবেষণা) স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন গুলশান পার্কে চলচ্চিত্র নির্মাতা আবু সাইয়ীদ কর্তৃক উদ্ভাবিত ‘চলন্ত রাস্তা’র পাইলটিং করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এরপর এ বিষয়ে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না দেখায় রিটটি করা হলে আদালত ওই রুল দেন।