যৌতুকের জন্য নির্যাতন, গৃহবধূর আত্মহত্যা, কারাগারে স্বামী

প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

রাজধানীর মুগদা এলাকায় রিনা ফুল পারভীন নামের (২৭) এক গৃহবধূকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় তাঁর স্বামীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আসামির নাম ইমন হোসেন (২৪)।

মুগদা থানার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত ইমন হোসেনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গতকাল ভোররাতে মুগদায় ভাড়া বাসা থেকে রিনা ফুল পারভীনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রিনার বাবা ইউনূছ আলী বাদী হয়ে মুগদা থানায় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় (আত্মহত্যার প্ররোচনা) মামলা করেন। ইমনকে গতকালই গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলায় ইউনূছ আলী বলেন, আসামি মামুনের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে তাঁর মেয়ের পরিচয় হয়। এরপর তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর তাঁদের বিয়ে হয়। এর আগে তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়েছিল। সেই ঘরে পাঁচ বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিলেন তাঁর মেয়ের জামাই। তিনি ক্যানসারের রোগী এবং গরিব মানুষ। যে কারণে তিনি তাঁর মেয়েকে টাকা দিতে পারবেন না বলে জানান। এরপর থেকে তাঁর মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন আসামি ইমন হোসেন।

ইউনূছ আলী আরও বলেন, মেয়ের একমাত্র সন্তান মাইশার সঙ্গে দেখা করতে দিতেন না আসামি। এ নিয়ে তাঁর মেয়ে রিনা ফুল পারভীন মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। সম্প্রতি তাঁর মেয়ে তাঁর স্ত্রীকে মোবাইল ফোন করে বলেন, ‘মা আমি আর নির্যাতন সহ্য করতে পারছি না। যৌতুকের টাকার জন্য শারীরিকভাবে নির্যাতন করছে। তুমি যেভাবে পারো ৩ লাখ টাকার ব্যবস্থা কর। ৩ লাখ টাকা যৌতুক দিলে সে (ইমন) আর নির্যাতন করবে না। আমার মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে দেবে।’

মুগদা থানার পরিদর্শক ফয়সাল মুন্সি আদালতকে এক প্রতিবেদন দিয়ে বলেন, আশপাশের এলাকার লোকজনের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, বিয়ের পর আসামি ইমন হোসেনের সঙ্গে রিনা ফুল পারভীনের ঝগড়া হতো। এই ঝগড়া বিরোধের জের ধরে রিনা ফুল পারভীন আত্মহত্যা করেছেন।