শিগগির রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সফল হবে: এনামুর রহমান

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির আজ বুধবার দুপুরে পরিদর্শন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির আজ বুধবার দুপুরে পরিদর্শন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।

রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে চীন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে ত্রিদেশীয় আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। আজ বুধবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ। এর মধ্যে ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সে দেশের সেনাবাহিনীর অত্যাচার ও নির্যাতনের মুখে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে।

দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেওয়ার বিষয়ে সরকার এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যেতে পারেনি। রোহিঙ্গা সংকটে যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা সহযোগিতা করেছে, তাদের সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। কিন্তু ভাসানচরের চেয়ে রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। শিগগির এই প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ সফল হবে।

প্রতিমন্ত্রীর প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ বি তাজুল ইসলাম, জ্যেষ্ঠ সচিব শাহ কামাল, কক্সবাজারের শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মাহবুবুল আলম তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শাহজাহান আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে উড়োজাহাজে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী। এরপর সড়কপথে তিনি উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরে বসতি ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া বিকেলে কক্সবাজার শহরে ফিরে সন্ধ্যায় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের কার্যালয়ে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রতিমন্ত্রী।