ভারতেও যোগাযোগ ছিল জেএমবির আসমানীর

আসমানী খাতুন
আসমানী খাতুন

তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া নব্য জেএমবির নারী শাখার প্রধান আসমানী খাতুনের ভারতেও যোগাযোগ ছিল বলে জানিয়েছে ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

আসমানী খাতুনকে মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর কমলাপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আসমানীকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে সিটিটিসির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন, আসমানী ওরফে আমাতুল্লাহ ওরফে বন্দি জীবন ওরফে নিখোঁজ আলোকে বাংলাদেশ ও ভারত দুই জায়গাতেই খোঁজা হচ্ছিল। তাঁর স্বামী ইসলাম আল হিন্দ জেএমবির একটি অংশের আমির বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার আছে। গত বছর ভারতের বিহার রাজ্যের পাটনা রেলস্টেশন থেকে খায়রুল মণ্ডল হিন্দ ও সুলতান নামে জেএমবির দুই সদস্য গ্রেপ্তার হন। তাঁদের সঙ্গে আসমানীর যোগাযোগ ছিল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর বলা হয়েছিল, গ্রেপ্তার ওই দুজন নিজেদের জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের কর্মী বলে পরিচয় দেন। তাঁরা সদস্য সংগ্রহের জন্য পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, দিল্লি ও বিহারে গেছেন। তাঁদের কাছ থেকে নয়াদিল্লি থেকে হাওড়া যাওয়ার ট্রেনের টিকিট, গয়া থেকে পাটনা যাওয়ার টিকিট এবং কলকাতা থেকে গয়া যাওয়ার বাসের টিকিট পাওয়া যায়।

ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম বিভাগ সূত্র জানায়, আসমানী দুই বছর ধরে সক্রিয়ভাবে নব্য জেএমবিতে সদস্যদের দলে ভেড়ানোর কাজ করছিলেন। তাঁর শিকার ছিলেন প্রধানত নারীরা। তাঁদের অনেকে ঘর ছেড়ে কথিত হিজরতও করেছেন। এই তালিকায় র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার শারমিনও আছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসমানী বলেন, দেশে খিলাফত ও শরিয়া আইন প্রতিষ্ঠা ছিল তাঁদের উদ্দেশ্য। এ জন্য যে কোনো ধ্বংসাত্মক কাজে তাঁর আপত্তি নেই।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আসমানীর গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর সদর থানার খান খানাপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামে। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর কাছ থেকে দুটি মুঠোফোন জব্দ করা হয়। তিনি স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে ঢাকায় স্বাভাবিক জীবনযাপন করতেন। বিয়ে বিচ্ছেদের পর অনলাইনে ইসলাম আল হিন্দের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান এবং জোরেশোরে নব্য জেএমবির সাংগঠনিক কাজ শুরু করেন। তাঁর সঙ্গে আবু ‍দুজানা ও আবু মোহাম্মদের যোগাযোগ ছিল। তাঁর মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন এমন একাধিক ব্যক্তিকে আগেই সিটিটিসি গ্রেপ্তার করেছে।