ছুটিতে দেশে যাওয়া চীনাদের ফিরতে মানা, বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ পেছাবে

ঢাকায় চীন দূতাবাসে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। ছবি: রাহীদ এজাজ
ঢাকায় চীন দূতাবাসে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। ছবি: রাহীদ এজাজ

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, চীনের অন্তত আট হাজার নাগরিক বাংলাদেশে কাজ করছেন। নববর্ষের ছুটি কাটাতে তাঁদের দুই-তৃতীয়াংশ দেশে গেছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে আপাতত তাঁদের বাংলাদেশে ফিরতে নিষেধ করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশে চীনের অর্থায়নে বৃহদায়তন প্রকল্পসহ নানা প্রকল্পের কাজ এক থেকে দুই মাস পিছিয়ে যেতে পারে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকায় চীনের দূতাবাসে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে লি জিমিং এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশে চীনের নাগরিকদের উপস্থিতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি জানান, চীনের যেসব নাগরিক ছুটি কাটাতে দেশে গেছেন, তাঁদের আপাতত ফিরতে নিষেধ করেছে চীনা দূতাবাস। এ ছাড়া নতুন প্রকল্পে আপাতত চীনের কোনো নাগরিককে না পাঠাতেও অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকায় দেশটির দূতাবাস। বাংলাদেশের অনুরোধে এটা করা হয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, ঢাকায় চীন দূতাবাস এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত চীনের নাগরিকদের কেউই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হননি। এ ছাড়া চীনে অবস্থানরত বাংলাদেশের কোনো নাগরিকও এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হননি। তাই এ নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

পণ্য পরিবহন বিঘ্নিত হওয়াসহ দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিরূপ প্রভাবের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ প্রশ্নের উত্তরে লি জিমিং বলেন, দুই দেশের বাণিজ্যে এখন পর্যন্ত এর কোনো প্রভাব নেই। শুধু চীনে উৎপাদিত পণ্যের একটি চালান মিয়ানমার থেকে আসার সময় বাংলাদেশের গন্তব্যে আসেনি বলা শোনা যাচ্ছে। বাংলাদেশে তৈরি পোশাকশিল্পের ৭৫ শতাংশ কাঁচামাল আসে চীন থেকে। এগুলো স্বাভাবিক নিয়মে চলছে। এ ছাড়া কার্গোর মাধ্যমে যেসব পণ্য পরিবহন করা হয়, তাতে ভাইরাস থাকে না।

চীনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে পাশ্চাত্যের তিনটি দেশ বাড়াবাড়ি রকমের প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেন চীনের রাষ্ট্রদূত। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ওই তিনটি দেশ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও ইতালি।

লি জিমিং বলেন, জার্মানির একটি সাময়িকী করোনাভাইরাসের উৎপত্তি চীনে বলে উল্লেখ করেছে। অথচ ভাইরাসের উৎস কোথা থেকে—এখন পর্যন্ত এটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তেমনি কোন দেশ থেকে এসেছে, সেটিও অমীমাংসিত।